Murshidabad: উত্তর ২৪ পরগনার যুবককে মুর্শিদাবাদে ডেকে অপহরণের অভিযোগ, অন্য ‘কাহিনি’ শোনাল অভিযুক্তরা

Youth kidnapped: অনিমেষ দাবি করেন, "ওরা আমাকে আটকে রেখেছিল। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। আমার বাড়িতে ফোন করে আড়াই লক্ষ টাকা চায়। আবার আমার কিডনি, চোখ বিক্রি করে দেবে জানিয়ে ফোন করছিল কাউকে।" কিন্তু, তিনি ডোমকলে কী জন্য এসেছিলেন? এর উত্তরে অনিমেষ দাবি করেন, "একজন আমাকে মোটর বাইকে এখানে নিয়ে এসেছিল। আমাকে যে নিয়ে এসেছিল, তার বাড়ি বসিরহাটে। তাকে চিনি না। মোবাইলে পরিচয়। সে আমাকে চার হাজার টাকা দেবে বলে নিয়ে এসেছিল। তারপর এদের হাতে তুলে দিয়ে পালায়।"

Murshidabad: উত্তর ২৪ পরগনার যুবককে মুর্শিদাবাদে ডেকে অপহরণের অভিযোগ, অন্য কাহিনি শোনাল অভিযুক্তরা
চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছেImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 14, 2025 | 6:12 PM

ডোমকল: উত্তর ২৪ পরগনার এক যুবককে মুর্শিদাবাদে ডেকে এনে অপহরণের অভিযোগ। মুক্তিপণও চাওয়া হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তবে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। পাল্টা তাঁদের দাবি, সোনা দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। তারপর নকল সোনা দেওয়া হয়।

উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বাসিন্দা অনিমেষ মালকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে বলে শুক্রবার সকালে অভিযোগ পায় ডোকল থানার পুলিশ। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত অভিযানে নামে ডোমকল থানার পুলিশ। মোবাইলে টাওয়ার লোকেশন দেখে চারজনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় অনিমেষ মালকে। ধৃতদের নাম রবিউল সরকার (৪৭) ও তুহিন সরকারের (১৯) বাড়ি ডোমকলের আলিনগর গ্রামে। আর ধৃত মীরাজ মণ্ডলের ৩৯) বাড়ি ডোমকলের রাজাপুরে। এবং ছবি বিশ্বাস (৩৮) নামে আর এক ধৃতের বাড়ি ডোমকলের মোমিনপুর এলাকায়।এদিন ধৃত চারজনকে জেলা আদালতে পেশ করে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ।

তবে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করার পর ধৃতরা দাবি করেন, তাঁরা অনিমেষকে অপহরণ করেননি। বরং অনিমেষ সোনা বিক্রির নামে তাঁদের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন। বদলে নকল সোনা দিয়েছেন।

অন্যদিকে অনিমেষ দাবি করেন, “ওরা আমাকে আটকে রেখেছিল। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়। আমার বাড়িতে ফোন করে আড়াই লক্ষ টাকা চায়। আবার আমার কিডনি, চোখ বিক্রি করে দেবে জানিয়ে ফোন করছিল কাউকে।” কিন্তু, তিনি ডোমকলে কী জন্য এসেছিলেন? এর উত্তরে অনিমেষ দাবি করেন, “একজন আমাকে মোটর বাইকে এখানে নিয়ে এসেছিল। আমাকে যে নিয়ে এসেছিল, তার বাড়ি বসিরহাটে। তাকে চিনি না। মোবাইলে পরিচয়। সে আমাকে চার হাজার টাকা দেবে বলে নিয়ে এসেছিল। তারপর এদের হাতে তুলে দিয়ে পালায়।” একজন অপরিচিতর সঙ্গে তিনি কেন এলেন, জানতে চাওয়ায় অনিমেষ বলেন, “৪ হাজার টাকা দেবে বলেছিল। সেজন্য এসেছিলাম।” তাঁর বিরুদ্ধে নকল সোনা বিক্রির অভিযোগ খারিজ করে দেন অনিমেষ।

এদিকে, মুর্শিদাবাদেই এদিন আরও একটি অপহরণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে। এক কলেজ পড়ুয়াকে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবি জানানো হয়। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। পলাতক আরও এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম মহম্মদ সেলিম শেখ। বাড়ি মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়া থানা এলাকায়।

পুলিশ জানিয়েছে, লালবাগ থানার তেতুলিয়া গ্রামের মাহমুদ সরকার নামে এক কলেজ পড়ুয়া বহরমপুরে মেসে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ তাঁকে বাইকে চাপিয়ে দুইজন নিয়ে চলে যায়। এরপর পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সেই মুক্তিপণ না দিয়ে বহরমপুর থানার দ্বারস্থ হয় মাহমুদ সরকারের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বহরমপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, গতকাল দুই অভিযুক্ত বাইকে চাপিয়ে মাহমুদ সরকারকে নিয়ে নদিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। সেই সময় অপহৃত মাহমুদ সরকার বাইকের মধ্যে বসে থাকার সময় ব্রেকে হাত দেন। বাইকটি উল্টে যায়। সেই সময় মাহমুদ সরকার চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয়রা এসে মাহমুদকে উদ্ধার করেন। সেই মুহূর্তে অভিযুক্ত একজন পালিয়ে গেলেও অন্যজনকে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন।