AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad Unrest: ‘সব বই পুড়িয়ে দিয়েছে’, মুখের ভাতের পর শিশুর পেটের বিদ্যেও কাড়ল ‘ওরা’!

Murshidabad Unrest: পরিস্থিতি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শান্তি ফিরবে সেটা নিয়ে সন্ধিহান এলাকার বাসিন্দারাই। স্বাভাবিকভাবেই অনেককেই বুধবার সকালেও দেখা গেল গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিতে। সন্তানরা বাঁচুক। পড়াশোনা করুক।

Murshidabad Unrest: 'সব বই পুড়িয়ে দিয়েছে', মুখের ভাতের পর শিশুর পেটের বিদ্যেও কাড়ল 'ওরা'!
গ্রামে গ্রামে শুধুই বিষাদের ছবি Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 16, 2025 | 6:25 PM

সামশেরগঞ্জ: পুড়েছে মিড ডে মিলের থালা, রেহাই পায়নি ইউনিফর্ম, ছেঁড়া হয়েছে বইপত্র, আতঙ্কে বন্ধ স্কুল,  সামশেরগঞ্জের একের পর এক গ্রামে যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই শুধু বিপন্ন শৈশবের ছবি। কোনও শিশুকে দেখা গেল পিঠে ব্যাগ নিয়ে মায়ের সঙ্গে গ্রাম ছাড়ছে, আবার কোনও শিশুকে দেখা গেল দুষ্কৃতীদের হাতে পুড়ে যাওয়া প্রিয় ব্যাগ নিয়ে গ্রামের মাঝে বসে রয়েছে। নতুন করে অশান্তির ছবি দেখা না গেলেও ভাল নেই মন, চোখেও জল! 

এদিকে ঝাঁপ বন্ধ স্কুলের। কবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কবে ফের স্কুল খুলবে, জানেন না শিক্ষকরা। স্কুলে রয়েছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর অস্থায়ী শিবির। সামশেরগঞ্জ থেকে ধুলিয়ান, সুতি, সর্বত্রই স্কুল খোলা নিয়ে জটিলতা চলছেই। স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে। তাতেই ফাঁপড়ে স্কুলগুলি। স্কুলে যেতে পারছে না ছোট ছোট শিশুরা। কিন্তু, স্কুল খুললেও পঠনপাঠন হবে কীভাবে? তা ভেবেই মাথায় হাত পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। 

একরাত হতাশা আর মন খারাপ নিয়েই পড়ুয়ারা বলছে, আমাদের তো বইপত্র – ইউনিফর্ম সব পুড়িয়ে দিয়েছে। মিড ডে মিল খাব! সেটা খাওয়ার জন্য যে থালা দরকার সেটা কেউ ভেঙে দিয়েছে। স্কুলে যাওয়ার পোশাক নেই। পড়াশোনা করার বই নেই।  

পরিস্থিতি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং শান্তি ফিরবে সেটা নিয়ে সন্ধিহান এলাকার বাসিন্দারাই। স্বাভাবিকভাবেই অনেককেই বুধবার সকালেও দেখা গেল গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিতে। সন্তানরা বাঁচুক। পড়াশোনা করুক। এই গ্রামে থাকলে কিছুই হবে না। অন্ধকারে ডুবে যাবে সন্তানরা। হাতে ব্যাগ নিয়ে গ্রাম ছাড়ার পথে এ কথাই বলে গেলেন গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। বইপত্র তো সব গেছে, গ্রাম ছাড়ার সময় বাচ্চাদের হাতে বাড়ির প্রিয় গবাদি পশু। ছোট ছোট ছাগল কোলে নিয়েই বাড়ি ছাড়তে দেখা গেল বেশ কয়েকজনকে। সঙ্কটকালে আর তাদের ছাড়তে রাজি নয় ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলো। হাতশ মুখেই এক বাচ্চা বলল, “আমরা মাসির বাড়ি চলে যাচ্ছি। বইপত্র সব নষ্ট করে দিয়েছে। স্কুলে যেতে পারছি না তাই মন খারাপ লাগছে। জামা কাপড়ও নষ্ট করে দিয়েছে। স্কুলে নিয়ে যাওয়ার মতো কিচ্ছু নেই। পড়াশোনা করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু কী করে করব জানি না!”