Septic Tank Death: সেপটিক ট্যাঙ্কই মরণফাঁদ! বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই মর্মান্তিক মৃত্যু ৩ শ্রমিকের
Septic Tank Death: পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাঁদেরকে প্রথমে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। এলাকায় একটি মাটি কাটার যন্ত্র রাখা ছিল। সেটা এনে কোনওভাবে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়।
মুর্শিদাবাদ: বাথরমের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরণফাঁদ! মর্মান্তিক ঘটনা হরিহরপাড়ায়। বাথরুমের সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত্যু হল তিন যুবকের। হরিহরপাড়া থানার মাদারতলা গ্রামের ঘটনা। মৃত ব্যক্তিদের নাম মাজু শেখ,রজব আলি,মনিরুল ইসলাম, প্রত্যেকের বাড়ি মাদারতলা গ্রামে। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমেছিলেন সেন্টারিংয়ের তক্তা খোলার জন্য। প্রথমে এক জন নীচে নামেন। নীচে নামতেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে উদ্ধারের জন্য চার জন শ্রমিক ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন। সেখানে অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ জনই অজ্ঞান হয়ে যান।
পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে তাঁদেরকে প্রথমে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। এলাকায় একটি মাটি কাটার যন্ত্র রাখা ছিল। সেটা এনে কোনওভাবে তাঁদেরকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তিন যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দু’জনের শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রেখেছেন চিকিৎকসকরা। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম।
এক কর্মী বলেন, “নতুন চেম্বার। ঢাকনা করতে হত। সেখানে সেন্টারিংয়ের নতুন হেড মিস্ত্রি নামেন। কিন্তু গ্যাস হয়ে যাওয়ার জন্য অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এরপর আরেক জন নামেন, তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করতে আবার এক জন। বিষাক্ত গ্যাসেই সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েন।” বিশ্বকর্মী পুজোর দিনই তিন সহকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না শ্রমিকরা।