নদিয়ার রানাঘাটের এক ব্যক্তির সঙ্গে বছর দুয়েক আগে সম্পর্ক তৈরি হয় এক মহিলার। দুই সন্তানের বাবা ওই ব্যক্তির সঙ্গেই তার পর ঘর বাঁধেন এক মহিলা। নিজের স্বামীকে ছেড়ে এসে রানাঘাটের ওই ব্যক্তির সঙ্গে সংসার করছিলেন তিনি। কিন্তু দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে নিজের বাড়িতে আসেন ওই মহিলা। তার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি রানাঘাট থেকে ডোমকলে আসেন। কিন্তু নিজের শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীকে দেখতে পাননি। শ্বশুরবাড়ির লোক নিজের মেয়েদের কোনও খবরই দিতে রাজি হননি তাঁকে। এর পর শাশুড়ির উপর ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। হাসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডোমকলের দফাদারপাড়া এলাকায়। জামাইয়ের হাসুয়ার কোপে আহত শাশুড়িকে ভর্তি করা হয়েছে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
শাশুড়িকে কোপ মারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আজমের। তাঁর সঙ্গে ঘর পেতেছিলেন আসেদা বিবির মেয়ে। মেয়েকে না পেয়ে আসেদাকেই হাসুয়ার কোপ মেরে দেন আজমের। তাঁর কোপে আসেদা চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে আসে। তখনই সেখান থেকে পালান আজমের।
আহত আসেদাকে পরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ডোমকল থানায়। অভিযুক্ত জামাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।