
মুর্শিদাবাদ: মানুষ আতঙ্কিত। হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। বস্তুত, শনিবার সন্ধেয় সামশেরগঞ্জে পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল করণি সিং শেখাওয়াত। আর এবার ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন দক্ষিণবঙ্গ এডিজি। বস্তুত সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন ডিএসপি পদমর্যাদার দশ জন পুলিশ অফিসার। পাশাপাশি তিনজন এসআই পদমর্যাদার আধিকারিককেও এই টিমে রাখা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এ দিন, ঘটনাস্থলে যেতেই সাধারণ মানুষজন তাঁকে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। কীভাবে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন তাঁরা, সবটাই তুলে ধরেছেন। আজ ঘটনাস্থলেই গিয়েই সুপ্রতীম সরকার প্রশ্ন করেন, “কী হয়েছে? কী হয়েছে?” তখনই এগিয়ে আসেন এলাকার মহিলারা। কার্যত অভিযোগ উগরে দেন তাঁরা। কীভাবে গোটা রাত তাঁরা কাটিয়েছেন, কী পরিস্থিতি হচ্ছে সবটাই জানিয়ে দেন তাঁরা।
এ দিকে, আজ সকাল থেকে পুলিশের একটি টিম ও আধা সেনা বেরিয়েছে তল্লাশিতে। কোথাও জমায়েত দেখলেই তাঁরা হঠিয়ে দিচ্ছেন সেখান থেকে। পাশাপাশি চলছে বিএসএফের টহলও। ধুলিয়ান পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ও পাশের গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের নজরদারি জারি আছে বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, “আমি ভাবতেই পারিনি এমন হবে। এত বছর ধরে এখানে বাস করেছি কখনও হয়নি। আগে শুনেছি। কিন্তু এই প্রথম চোখে দেখলাম। আতঙ্কে রাতভর জেগে আছি।” এক ব্যবসায়ী বলেন, “বাড়িতে আসছে। তারপর সব জ্বালিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। একটা গাড়ি এখানে দাঁড়ানো ছিল। সেইটাও জ্বালিয়ে দিল।”