Sukanta Majumder: জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে সুকান্ত

Sukanta Majumder: সুকান্ত বলেন, "তৃণমূল নেতৃত্ব নিহতের ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ নিচ্ছেন বটে, কিন্তু ওঁরা কি এই বাচ্চাগুলোকে তাদের বাবা-দাদুকে ফেরত দিতে পারবেন? ওঁদের কেন বলি দিতে হল? ওঁরা কি কারোর বাড়িতে ঢিল মেরেছিল? ওঁরা তো ভাঙচুর করেননি।"

Sukanta Majumder: জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে সুকান্ত
জাফরাবাদে সুকান্তImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 21, 2025 | 3:05 PM

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে নিহত বাবা ছেলের বাড়িতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি কথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে সেদিনের ঘটনা খুলে বলেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

সুকান্ত বলেন, “তৃণমূল নেতৃত্ব নিহতের ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ নিচ্ছেন বটে, কিন্তু ওঁরা কি এই বাচ্চাগুলোকে তাদের বাবা-দাদুকে ফেরত দিতে পারবেন? ওঁদের কেন বলি দিতে হল? ওঁরা কি কারোর বাড়িতে ঢিল মেরেছিল? ওঁরা তো ভাঙচুর করেননি।”

জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে রবিবার যান জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূলের এই জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি মৃত চন্দন দাসের নাবালক দুই ছেলে এবং কন্যা সন্তানের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব দুই তৃণমূল সাংসদ নিজেরা নেন।

সুকান্ত মজুমদার নিগৃহীতদের আশ্বস্ত করেন। তিনি আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁদের অভাব অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তায় বিএসএফ আরও বেশি করে মোতায়েন করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।”

তবে বিএসএফ মোতায়েন নিয়ে সুকান্ত এটাও বলেছেন, “বিএসএফ মোতায়েন নিয়ে সুকান্ত বলেন, “এই এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প খুলতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি-সহ অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। বিএসএফ বর্ডারের যে রাস্তাটা বানায়, সেই জমিটার মালিকও রাজ্য সরকার। বিওপিটা বর্ডারের কাছে ফেন্সিংয়ের কাছে রয়েছে, সেই জমিটার মালিকও রাজ্য সরকার। আমি গৃহমন্ত্রীর কাছে আবেদন করব।”