
রঘুনাথগঞ্জ: মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে ‘আক্রান্ত’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। রঘুনাথগঞ্জে তৃণমূলের ১নং ব্লক সভাপতি গৌতম ঘোষকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া এবং গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার বিকেলে। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন ব্লক সভাপতি গৌতম ঘোষ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের ৩৪নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারে। নেতার উপরেও আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের জেরে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার বিকেলে পুনরায় গৌতম ঘোষের উপরে আক্রমণ চালানো হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় রঘুনাথগঞ্জে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ‘আক্রান্ত’ গৌতম ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা তাঁর ভাইকে গিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ঘটনাস্থলে যান। তাঁর অভিযোগ, বেশ কিছু দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে এবং ট্রাক্টরে চেপে এসে তাঁর গাড়িতে এবং তাঁর উপর হামলা করার চেষ্টা করে। গৌতম ঘোষের আরও বক্তব্য, তিনি কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছি। তাঁর গাড়িতে গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বোমাবাজিও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ব্লক সভাপতির বক্তব্য, দুষ্কৃতীদের হাতে বোমা, পিস্তল, হাঁসুয়া, লাঠি সবই ছিল। দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকে বিজেপির লোক বলে দাবি তৃণমূল নেতার।
তবে বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “তারা নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে বিজেপি টিএমসির কোনও ব্যাপার নেই। বিজেপির যদি কোনও বিষয় থাকে, তাহলে আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণ করব। সব থেকে খারাপ লাগল, নির্লজ্জের মতো বলে দিলেন বিজেপির লোকেরা এটা করেছে। গৌতম ঘোষ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়। যেটা পার্টিগত বিষয় নয়, সেখানে পার্টির রং লাগানোকে ধিক্কার জানাচ্ছি। গৌতম ঘোষকে আমার অনুরোধ এই ধরনের বাজে মন্তব্য যেন না করা হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে যেন বিজেপির উপর না চাপানো হয়।”