মুর্শিদাবাদ: রাজ্যজুড়ে দাপট বাড়ছে করোনার। কিন্তু মানুষের কি আদৌ ঘুম ভেঙেছে? আজ থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। জনতা কিন্তু ‘ডোন্ট কেয়ার’। হাজারদুয়ারিতে চলছে দেদার পিকনিক।
জানা গিয়েছে, আজকে হাজারদুয়ারির পিছনের গেটে চলছে পিকনিক। সকাল থেকে দেখা নেই প্রশাসনের। এক শ্রেণির পর্যটক আসেন এবং সেখানে পিকনিক শুরু করেন। শুধু হাজারদুয়ারি নয়, মতিঝিল পার্কের আশেপাশে যে বেসরকারি পার্কগুলি রয়েছে সেই পার্কগুলিতে সরকারি বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করেই তারা পিকনিক করে চলেছে। শুধু কি তাই? অভিযোগ উঠছে এই সব পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি মানুষের মুখে নেই মাস্ক। সবমিলিয়ে প্রশাসনের দিকেই আঙুল উঠছে কীভাবে সরকারি নিষেধাতজ্ঞা অমান্য করে পিকনিকে মত্ত হয়ে উঠেছেন?
মুখে মাস্ক নেই কেন প্রশ্ন করা হলে পর্যটকদের একজন হেসে-হেসে উত্তর দিলেন, “এখানে ভিড় নেই তো তাই আর… কারোর মুখেই মাস্ক নেই সেইকারণে আমিও পরিনি।” অপর একজনের সাফ-সাফ উত্তর, “জানতাম না তাই চলে এসেছি। আর আমাদের পিকনিক করতে কেউ বারণও করেনি। এখন যখন চলে এসেছি ফিরে তো যেতে পারব না। পিকনিক করব না তো কী করব? ”
সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। শনিবার ছিল সংখ্যাটা ২৮। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ১৩ জন। গত দু’দিনে কারোর মৃত্যু হয়নি। এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। লাগাম ছাড়া সংক্রমণে লাগাম পরাতে আংশিক লকডাউনের পথ হাঁটছে রাজ্য। আজ থেকে জারি একাধিক নির্দেশিকা।
বন্ধ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা কি আদৌ হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড বা উচ্চ শিক্ষা দফতর। বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন, চিড়িয়াখানা-সহ সব পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন পার্ক। এদিকে, ৩ জানুয়ারি থেকে মেট্রো ছাড়ার সময়ও বদলাচ্ছে। দিনের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টায়, যা এতদিন রাত সাড়ে ৯টা ছিল। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী দিনের শেষ মেট্রো রাত সাড়ে ৯টার বদলে ছাড়বে রাত ৯টায়।
সবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিষেবা। কিন্তু আবারও ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তে নতুন করে বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে বাধ্য হল রাজ্য। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আর গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর কোনও জায়গা নেই, এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য় দফতরের অধিকর্তারা। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা প্রতিদিনের তথ্য খতিয়ে দেখে অভ্যন্তরিন বিশ্লেষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: Covid Spike: এবার করোনার করাল থাবা এনআরএসে! একসঙ্গে ৬১ জন পজিটিভ