Murshidabad unrest: ‘ক্ষতিপূরণ চাই না, স্থায়ী BSF ক্যাম্প চাই’, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাফরাবাদে মৃত চন্দনের দিদি

Murshidabad unrest: এদিন জাফরাবাদে গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।

Murshidabad unrest: ক্ষতিপূরণ চাই না, স্থায়ী BSF ক্যাম্প চাই, তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাফরাবাদে মৃত চন্দনের দিদি
চন্দন দাসের দিদিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 20, 2025 | 6:01 PM

জাফরাবাদ: ঘটনার ৯ দিন পর জাফরাবাদে মৃত পিতা-পুত্রের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়ে দিলেন, এই টাকা তাঁদের চাই না। ৯ দিন পর তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কেন এসেছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন চন্দন দাসের দিদি।

মুর্শিদাবাদে হিংসা চলাকালীন জাফরাবাদের হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুন করা হয়। গতকাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও হরগোবিন্দ দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে। এর আগে সিপিএমের প্রতিনিধি দলও ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে।

এদিন জাফরাবাদে গিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম।

ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর খলিলুর রহমান বলেন, “যারা একাজ করেছে তারা দুষ্কৃতী। এখনও পর্যন্ত চারজন ধরা পড়েছে। দুষ্কৃতীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইছি।” একইসঙ্গে তিনি জানান, “এই পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। পরিবারের তিনটে বাচ্চা রয়েছে। তাদের লেখাপড়া-সহ যেকোনও সাহায্যের দরকার হলে আমরা রয়েছি।”

তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে চন্দনের দিদি বলেন, “আমরা কারও ক্ষতিপূরণ নেব না। আমরা বলে দিয়েছি। এখানে বিএসএফ-র স্থায়ী ক্যাম্প চাই। দোষীর শাস্তি চাই। যেদিন মারা যায়, সেদিন চার ঘণ্টা পর সবাই এসেছিল। আর এখন সবাই আসার পর ৯ দিন পর এরা এসেছে। খলিলুর রহমান আশ্বাস দিয়ে গেলেন, দোষীদের শাস্তি হবে। এখন কী হবে, বলতে পারছি না।”