মুর্শিদাবাদ: কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সোমবার তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে ইডি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তির হিসেব দেখতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই রিপোর্ট আদালতে জমাও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সেই রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় বেজায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি। হাইকোর্টের এদিনের ঘটনা পরম্পরার পরই রাজনৈতিক দলগুলির থেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসতে শুরু করে দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী যেমন ইডিকে ‘ইডিয়ট’ বলে কটাক্ষ করলেন।
অতীতে রাহুল গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের কথা মনে করিয়ে অধীরবাবু বললেন, ‘ইডি হচ্ছে ইডিয়ট।’ তাঁর বক্তব্য়, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাহুল ও সনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আজ মুর্শিদাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বললেন, ‘এদের ইডি না বলে ইডিয়ট বলা ভাল।’
এদিকে হাইকোর্টে এদিন ইডির ধমক খাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও, শুভেন্দু হাইকোর্টের আজকের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলছেন, ইডির নীচু তলার যে তদন্তকারী অফিসার বা অন্য অফিসাররা রয়েছেন, তাঁদের আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত। হাইকোর্ট যে সব তথ্য চাইছে, সেগুলি সময়ের মধ্যে দিয়ে দেওয়া উচিত।’ যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অবশ্য একইসঙ্গে এও দাবি করলেন যে আজকের ঘটনার থেকে স্পষ্ট তদন্তকারী সংস্থার উপর কেন্দ্র বা বিজেপির কোনও প্রভাব নেই। বললেন, ‘এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রভাব বা প্রত্যক্ষ মনিটরিং নেই।’