Murshidabad Murder: বুকে তরোয়াল ঢুকিয়ে এফোঁড় ওফোঁড়, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কর্মী খুন
Murshidabad: গুরুতর অবস্থায় তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত (Panchayet Election) ভোটের আবহে ঝরল রক্ত। একইদিনে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গে এক ছবি। দুই ঘটনায়ই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের। মৃতের নাম পাইলট শেখ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার ঘোষপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহেল শেখ-সহ তাঁর বেশ কয়েকজন সঙ্গী এসে পুকুরে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় পাইলট শেখ ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাধা দিতে যান। এরপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয় পাইলটকে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন পাইলট শেখ। জখম হন তাঁর পরিবারের অন্যান্য তিন সদস্যও। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বেলা ১টা নাগাদ মৃত্যু হয় পাইলট শেখের।
পাইলটের দাদা জখম আলম আলি মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলেরই নাম করে কয়েকজন একটা গোষ্ঠী তৈরি করেছে। এদের লক্ষ্য হচ্ছে গুন্ডামি করা। রানিনগরে নবিপুপ মৌজায় আমাদের পৌনে ৪ বিঘা জমি রয়েছে। সাত বছর ধরে সেটা দখল করে রেখেছে। হাইকোর্টে ও লালবাজারে ডিক্রি পাই। তবু জমি ছাড়েনি। এরপর আমি পুলিশ নিয়ে গিয়ে কোনওমতে জমি পাই। একটা পুকুর কিনেছি। সেখানে মাছ ধরতে গিয়েছিল আজ। আমাদের পুকুরে ছাড়া মাছ নিয়ে নিচ্ছিল। বাড়ির লোকজন না করায় আমার ভাইকে বাড়িতে ঢুকে মেরেছে। বুকে তরোয়াল ঢুকিয়ে দিয়েছিল আমার ছোট ভাই পাইলটের। আরেক ভাইয়ের দাঁত ভেঙে দিয়েছে।”
এই ঝামেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, মানতে নারাজ জলঙ্গির বিধায়ক আবদুর রজ্জাক বলেন, “জমি নিয়ে ঝামেলা। এখানে দলের কোনও কোন্দলের ব্যাপারই নেই।” এদিনই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ২ জন মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে। বুথ কমিটির বৈঠক ছিল তৃণমূলের। পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী হবে, তা নিয়েই ঝামেলা এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সেখানে।