AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burwan OC: ‘জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়, একদিন ঠুকরায়েগি’, ফেসবুকে ভিডিয়ো শেয়ার কাটমানি নিয়ে সরব হওয়া সেই ওসির

Murshidabad: সরকারি ঠিকাদারি কাজে কমিশন নেওয়ার কথা বলছেন একজন ওসি। রীতিমতো প্রতি পাইয়ের হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। ওসি সন্দীপ সেনের এই বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়।

Burwan OC: 'জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়, একদিন ঠুকরায়েগি', ফেসবুকে ভিডিয়ো শেয়ার কাটমানি নিয়ে সরব হওয়া সেই ওসির
কাটমানি নিয়ে ওসির মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 7:15 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: কাটমানি নিয়ে মন্তব্যের জেরে শোকজ করা হয় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেনকে। সেই সন্দীপ সেনের ফেসবুক প্রোফাইলে ভেসে উঠল ‘মুকাদ্দর কা সিকন্দর’-এর গানের ভিডিয়ো। শোনা গেল, ‘জিন্দেগি তো বেওয়াফা হ্যায়, একদিন ঠুকরায়েগি…’। অনেকেরই প্রশ্ন, ব্যক্তিগত জীবনের কোনও উপলব্ধি থেকেই কি এই ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সন্দীপ? তবে কি এই ভিডিয়ো শেয়ার করে কোনও বার্তা দিতে চাইলেন তিনি?

বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেনকে বলতে শোনা যায়, “১০০ টাকায় ৪০ টাকা লস করে রাস্তা তৈরি করবে। নিজে খাবে ২০ টাকা। হাতে কত? ৬০। ব্লক অফিসে কত দেবে? ৪ শতাংশ। হল ৬৪। আগের ওসিদের কত দিতে হত? ৫ শতাংশ। হল ৬৯। আর হ্যাঁ খ্যাঁকশিয়ালের বাচ্চাদের দেবে আরও ৫ শতাংশ। ৭৫ ধরলাম। ২৫ টাকায় সাহোড়া অঞ্চলে কী ঘণ্টা কাজ হবে? তুমি খাও না খাও… যেটা করছ সেটা প্রকৃত যেন… আমাদের সরকার চাইছে প্রকৃত উন্নয়ন হোক।”

সরকারি ঠিকাদারি কাজে কমিশন নেওয়ার কথা বলছেন একজন ওসি। রীতিমতো প্রতি পাইয়ের হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। ওসি সন্দীপ সেনের এই বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। রাজনৈতিক তরজাও হয়। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এতদিন ধরে বলতাম, লড়াই করতাম, এখন পুলিশ বলছে। ওসি বলছেন। তৃণমূল পুলিশ যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে, মানুষের উন্নয়নের জন্য যে টাকা, তা যে ওরাই খাচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। নেতা, মন্ত্রী, পুলিশদের উন্নয়ন হচ্ছে।”

অন্যদিকে জেলারই কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ আসলে কী, তা জ্ঞানে অজ্ঞানে কোনও পুলিশ অফিসার বলে ফেলেছেন। সত্যিটাই বলেছেন। মিথ্যা কিছু বলেননি। এখন পুলিশ সেটা স্বীকার করবে কি না তাদের ব্যাপার।”

এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য ছিল, “তৃণমূল কংগ্রেস তো প্রথম থেকে বলছে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকার ১০০ শতাংশ নির্দিষ্ট উন্নয়নের কাজেই ব্যয় হবে। সেখানে যদি একেবারে গ্রাসরুটে কোথাও কোথাও বিচ্যুতি ঘটে, যদি জনমত হয় মন্দ কী? সবাই মিলে যদি বলে কোথাও কাউকে দেওয়া নয়, পুরো টাকাটার কাজ হোক। তার মধ্যে ক্ষতি কী আছে?”