Laxmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, নিরাপত্তা দাও গো…’, মুর্শিদাবাদে বুকফাটা কান্না বৃদ্ধার

Murshidabad: এরপর শনিবার উপদ্রুত এলাকাগুলি পরিদর্শনে পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। আর তাদের দেখে কার্যত আরও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মহিলারা। স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্প চাই, লিখে পথে নেমেছেন তাঁরা।

Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না, নিরাপত্তা দাও গো..., মুর্শিদাবাদে বুকফাটা কান্না বৃদ্ধার
হাউহাউ কান্নায় মহিলারাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Apr 19, 2025 | 5:25 PM

মুর্শিদাবাদ: ‘হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?’, ‘CBI তদন্ত চাই’, ‘স্থায়ী BSF ক্যাম্প চাই…’, হাতে প্ল্যাকার্ড লিখে এভাবেই পথে নামলেন মুর্শিদাবাদের মহিলারা। আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না তাঁদের। একটাই কথা, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, নিরাপত্তা চাই আমাদের।”

ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের সুতি,জঙ্গীপুর সহ একাধিক জায়গায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। তবে পয়লা বৈশাখের আগে থেকেই পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে শান্ত হয়। কিন্তু এলাকার মহিলাদের আতঙ্ক কাটছে না। আর কয়েকদিন পর বিএসএফ চলে যাবে। তখন কী হবে? তা ভেবেই কুল-কিনারা করতে পারছেন না তাঁরা।

এরপর শনিবার উপদ্রুত এলাকাগুলি পরিদর্শনে পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। আর তাদের দেখে কার্যত আরও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মহিলারা। স্থানীয় বিএসএফ ক্যাম্প চাই, লিখে পথে নেমেছেন তাঁরা। এক বৃদ্ধা কার্যত কাঁদতে-কাঁদতে বললেন, “আমাদের আর কিছু চাই না। নিরাপত্তা চাই। খুব ভয়ে আছি।” আরও এক মহিলা বলেন, “দুয়ারে সরকার চাই না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। ঘুমোতে পারছি না। একটা স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নয়ত আমরা বাঁচতে পারব না।” আরও এক মহিলা বলেন, “কী করব বলুন….আমাদের সব ছারখার হয়ে গেল। সবটা লুঠ করে নিয়ে চলে গেছে।”