রানাঘাট: জেলাশাসকের রিপোর্ট প্রকাশ্য়ে আসার পর প্রায় অনিশ্চিত ১১২ ফুটের দুর্গার পূজা। নদিয়ার কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে এখন শুধুই হতাশা! গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এই ১১২ ফুট উচ্চতার দুর্গার জন্য নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। তাই পুজো বন্ধ হওয়ার নির্দেশ আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এলকার মানুষ। মণ্ডপ তৈরির অনুমতি না দিলে আর পূজাই করবেন না গ্রামের মানুষ, এমনটাই বললেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনিও।
রানাঘাট শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে এই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছিল। এই পুজোর উদ্যোক্তা কামালপুর অভিযান সঙ্ঘ। এবার তাদের পুজো ৫৫ বছরে পা রাখছে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে একত্রিত হয়েছে পাশাপাশি প্রায় ২০টি গ্রাম। ভলান্টিয়ার হিসাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রায় ২৫টি ক্লাব।
এলাকার কৃষকরা কৃষিকাজ না করে ফেলে রেখেছে তাদের ফসলের জমি। এই পূজাকে কেন্দ্র করে বসবে মেলা। প্রচুর ব্যবসায়ী আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হয়েছিল। ৮ থেকে ৮০ সর্বস্তরের মানুষ নিজেরা পরিশ্রম করে অর্থ যোগাড় করেছিল।
এই পুজো নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নদিয়ার জেলাশাসককে পুজোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার জেলাশাসক জানিয়েছেন, ১১২ ফুট দুর্গার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তে এলাকার মানুষ হতাশ।
এলাকার মানুষ চান ঘটনাস্থলে জেলাশাসক গিয়ে পরিদর্শন করে এই পুজোর অনুমতি দিন। তাঁদের দাবি এই ১১২ ফুট উচ্চতার প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে না, নিরঞ্জন করা হবে সাত ফুট উচ্চতার মৃন্ময়ী দুর্গা প্রতিমা। রাস্তার দুদিকে মানুষের প্রবেশ করার ও বেরনোর অনেক জায়গা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।