AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: বান্ধবীর জন্মদিনে না গিয়ে কোথায় গেল কিশোরী? খোঁজ করতে গিয়েই মাথায় হাত পরিবারের

Nadia: কিশোরীর মা বলেন, "পৌনে একটা নাগাদ মেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় আমার মেয়ে। বান্ধবীর জন্মদিন রয়েছে জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আধার কার্ড, জন্ম শংসাপত্র নিয়ে গিয়েছে। সমু দাসের দিদি প্রথমে মানতে চায়নি যে আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে।"

Nadia: বান্ধবীর জন্মদিনে না গিয়ে কোথায় গেল কিশোরী? খোঁজ করতে গিয়েই মাথায় হাত পরিবারের
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কিশোরীর মাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2025 | 5:50 PM
Share

শান্তিপুর: বান্ধবীর জন্মদিনে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু, বান্ধবীর বাড়ি যায়নি বছর তেরোর কিশোরী। খোঁজ করতে গিয়েই মাথায় হাত পরিবারের। বান্ধবীর বাড়ি না গিয়ে তামিলনাড়ু রওনা দিয়েছে ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রী। তার পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে তামিলনাড়ু নিয়ে পালিয়েছে পরিচিত এক পরিবার। কিশোরীকে সেখানে বিক্রি করে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা পরিবারের। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের। থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার।

কিশোরীর বাড়ি শান্তিপুরের মাতালগড় লিচুবাগান পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, গতকাল বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ এক বান্ধবীর জন্মদিনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। কিছুক্ষণ পরে সেই বান্ধবী ওই নাবালিকার বাড়ির ফোনে মেসেজ করতে থাকে। এরপরই ওই নাবালিকার মায়ের সন্দেহ হয়। তখন তার মেয়ের বান্ধবীকে ফোন করে বলেন, “তুই কেন মেসেজ করছিস? তোর জন্মদিন উপলক্ষে তো বাড়ি থেকে বের হয়েছে আমার মেয়ে।” তখনই কিশোরীর বান্ধবী বলে, আজ তার জন্মদিন নয়। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় পরিবারের তরফে। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর সন্দেহবশত তাদের এক পরিচিতকে ফোন করেন। কিন্তু প্রথমে তারা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে। এরপর থানায় এসে কিশোরীর পরিবার পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে জানায়। এরপর রাতে অভিযুক্তরা ফোনে স্বীকার করে, কিশোরী তাদের সঙ্গে তামিলনাড়ু রওনা দিয়েছে। কিন্তু, কিশোরীকে এখনই ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করে তারা। তারপরই থেকেই অভিযুক্তদের ফোন বন্ধ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কিশোরীর বাবা-মা।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা কিশোরীর মামার পরিচিত। কিশোরীর মামার বন্ধুর ছেলে-মেয়ে এই ঘটনায় জড়িত। বছর পাঁচেক আগে কিশোরীর মামার বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের পরিচয় হয়। তবে তারপর তেমন যোগাযোগ ছিল না। বছর খানেক আগে মামার বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে ফের কিশোরীর পরিবারের যোগাযোগ বাড়ে।

কিশোরীর মামার বন্ধুর নাম বিপিন দাস। তাঁর পুত্রের নাম সমু দাস। আর কন্যার নাম দীয়া মণ্ডল। বছর বাইশের সমু দাস তামলনাডুতে কাজ করেন। আর দীয়ার স্বামীও তামিলনাড়ুতে থাকেন। দীয়া তাঁর মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে তামিলনাড়ু নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ কিশোরীর মা মাম্পি দাসের।

তিনি বলেন, “পৌনে একটা নাগাদ মেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় আমার মেয়ে। বান্ধবীর জন্মদিন রয়েছে জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আধার কার্ড, জন্ম শংসাপত্র নিয়ে গিয়েছে। সমু দাসের দিদি প্রথমে মানতে চায়নি যে আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে। পরে রাতে স্বীকার করে। তখন তাকে আমি বলি, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিয়ে যাও। তখন সে বলে, আড়াই হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এনেছি। এখন তা বললে হয়? আমার মেয়েকে বোন বলে ডাকত। আমার আশঙ্কা, মেয়েকে বিক্রি করে দিতে পারে ওরা।”

কিশোরীর বাবা ঝন্টু দাস বলেন, “পুলিশও তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। পুলিশ জানায়, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিলে কোনও মামলা করা হবে না। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, তারপর থেকেই তাদের ফোন বন্ধ। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।” কিশোরীর পরিবারের দাবি, পুলিশ দ্রুত তাঁদের মেয়েকে উদ্ধার করুক। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।