কৃষ্ণনগর: একটি গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল রনি সাহা। ছয় মাসে আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ঘটনায়। রবিবারই জামিনে ছাড়া পেয়েছে। আর তারপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। ছয় মাস ধরে মনের মধ্যে এক ভীষণ প্রতিহিংসা স্পৃহা জমিয়ে রেখেছিল রনি। ছাড়া পেতেই তাই ফের হামলা। ওই গুলি চালানোর ঘটনায় এক সাক্ষী তথা প্রত্যক্ষদর্শীর বাড়িতে হামলা চালায় এলাকায় কুখ্যাত সমাজবিরোধী হিসেবে পরিচিত রনি সাহা। ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই বাড়ির একাধিক সদস্যের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। রেহাই পায়নি শিশুও। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃ্ষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এলাকার দৌগাছিতে।
ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের কোপে এক শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে ওই হামলার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত রনি সাহা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায় কৃষ্ণনগর থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। বিক্ষোভের জেরে কার্যত পিছু হঠে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, এক বছর আগে দৌগাছি এলাকায় চড়কের মেলায় গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই এলাকার কুখ্যাত সমাজবিরোধী রনি সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। সেই ঘটনার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির ছয় মাসের মাথায়, রবিবার সে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পায়।
ওই গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী যুবককে পুলিশ মামলার সাক্ষীর তালিকায় রাখে। এদিকে জামিনে মুক্তির পর বাড়ি ফিরে প্রথমে রনি ফোনে করে ওই যুবককে। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তাঁকে। এরপর রাতেই ওই পরিবারের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতী রনি সাহা। বেধড়ক মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় এক শিশুর উপরেও। বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে এসেছে। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তখন পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি, তাদের প্রশাসনের উপর আর কোনও আস্থা নেই। অপরাধ করেও এলাকায় দুষ্কৃতীরা যেভাবে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। আর এতে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের একাংশের। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।