কলকাতা ও নদিয়া : সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সাতটি নতুন জেলা তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে, সুন্দরবন, ইছামতি, বসিরহাট, বিষ্ণুপুর, কান্দি, বহরমপুর এবং রানাঘাট। মূলত, নদিয়া জেলা ভাগ করে এই রানাঘাট তৈরি হওয়ার কথা। যদিও জেলাগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস কীভাবে হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এদিকে নদিয়া জেলাকে ভাগ করে নতুন রানাঘাট জেলা তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় স্তরে বেশ কিছু অসন্তোষ দেখা গিয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে ইতিমধ্যে। দাবি, জেলা ভাগ হয়ে গেলে ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার নদিয়া জেলা ভাগ করে রানাঘাট না করে বিকল্প চিন্তাভাবনা চলছে রাজ্যের। প্রশাসনিক সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে নদিয়া জেলা ভাগের পর নদিয়া উত্তর এবং নদিয়া দক্ষিণ – এমন নামকরণ করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
বিক্ষিপ্তভাবে নদিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। মঙ্গলবার সকালে ফুলিয়া, শান্তিপুর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে। বিকেলেও শান্তিপুরে ফের একদফা বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের মূলত বক্তব্য, এই জেলা মণীষীদের পূণ্যভূমি। শ্রীচৈতন্যদেব থেকে শুরু করে অদ্বৈত আচার্যের মত একাধিক মণীষীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই জেলা। সেই সঙ্গে নবদ্বীপ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জেলাবাসীদের আবেগ। এই পরিস্থিতিতে জেলা যদি ভাগ করা হয়, তাহলে নদিয়া থেকে পৃথক করে নতুন জেলা যদি করতেই হয়, তাহলে তা নদিয়া উত্তর এবং নদিয়া দক্ষিণ করা হোক – এমনই দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, অন্তত নদিয়া নামটুকু জড়িয়ে থাকুক নতুন জেলার সঙ্গে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যখন এমন বিক্ষোভের ছবি উঠে আসছে, তখন প্রশাসনিক স্তরেও বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা চলছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে নদিয়া জেলা ভাগের পর নদিয়া উত্তর এবং নদিয়া দক্ষিণ নাম রাখা যায় কি না, সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশাসনিক স্তরে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।