Bakibur Rahaman: কিষাণমান্ডিতেও বাকিবুরদের থাবা? মারাত্মক অভিযোগ নদিয়ার কৃষকদের
Nadia: রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানরা। জ্যোতিপ্রিয়র বর্তমান কিংবা প্রাক্তন আপ্তসহায়করাও রোজ ছুটছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, বেরিয়ে আসছে কেউটে, গোখরো।
রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানরা। জ্যোতিপ্রিয়র বর্তমান কিংবা প্রাক্তন আপ্তসহায়করাও রোজ ছুটছেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, বেরিয়ে আসছে কেউটে, গোখরো।
এরইমধ্যে নদিয়ার কৃষকরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা সরাসরি কিষাণমান্ডিতে গেলে ধান বিক্রি করতে পারেন না। সেখানে গেলে বস্তাপিছু কখনও ৫ কেজি, কখনও আবার ১০ কেজি বেশি দিতে হয়। সরকারি আধিকারিকদের একাংশর মদতেই এই দুর্নীতি চলে বলে অভিযোগ।
নদিয়ার কৃষক রেজাউল শেখ। তাঁর বক্তব্য, “কিষাণমান্ডিতে জিনিস ঠিকমতো বিক্রি করতে পারি না। খোলা বাজারেই বিক্রি করি। এখন তো অনেক দালাল ঢুকে পড়েছে। কৃষক মানুষ, কী করে যাব ওখানে।” আরেক কৃষক অমর মণ্ডলের কথায়, “গেলে বলবে ৩০ বস্তা ছাড়া নেবো না। দালাল আছে, টাকা নেয়।” সজল মণ্ডলও নিজেই ফসল ফলান। কিন্তু আফশোস, “ধান তো দিতেই পারি না দালালের জন্য। পয়সা নিয়ে সমস্যা হয়। তাই খোলা বাজারেই ধান বিক্রি করি।” অভিযোগ, ঘুরপথে এই ধান চলে যায় রাইস মিলে।
স্থানীয় সিপিএম নেতা সুমিত বিশ্বাসের কথায়, “একটা চক্র চলছে। মাথায় বাকিবুর, জ্যোতিপ্রিয়রা বসেছিলেন। কৃষকদের কৃষিমান্ডিতে কার্যত ঢোকারই সুযোগ নেই। এদের সঙ্গে যুক্ত ফড়েরা ধান কেনে।” অন্যদিকে ভারতীয় জনতা কিষাণ মোর্চার নেতা মহাদেব সরকার বলেন, “কেন্দ্র সরকার ধান কেনার জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা দুর্নীতিতে যুক্ত। এরাই বাকিবুর রহমানদের প্রশ্রয় দিয়েছে।” যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের কেউ মুখ খুলতে আগ্রহী নয়।