Mamata Banerjee: চিকেন প্যাটিস-কাণ্ডে “সব ক’টাকে গ্রেফতার করিয়েছি”, গর্জন মমতার
Mamata Banerjee in Krishnanagar: বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ অনেকটাই শেষ। যাদের তথ্য নিয়ে বিভ্রাট, তাঁদের শুনানির জন্য় ডাকবে বলেই জানিয়েছিল কমিশন। এখন তলব করেনি, তবে করলে তৃণমূল সেই সকল মানুষদের পাশে রয়েছে বলেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নদিয়া: নিরামিষ সাম্রাজ্যবাদ প্রসঙ্গে সরব মমতা। বাঙালির উপর নিরামিষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি জনসভা করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখান থেকেই তোপ দাগেন গেরুয়া শিবিরের। পাশাপাশি, চিকেন প্যাটিস-কাণ্ডে প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চিকেন প্য়াটিস-কাণ্ড
রবিবার গীতাপাঠের দিন ময়দানে এক প্য়াটিস বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে কিছু হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্য়েই সোশ্য়াল মিডিয়া জুড়ে শোরগোল ফেলেছে সেই ‘দৌরাত্ম্যের’ ভিডিয়ো (যার সত্য়তা টিভি৯ বাংলা যাচাই করেনি)। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চিকেন প্যাটিস বিক্রির জন্য মারধর করা হচ্ছে ওই বিক্রেতাকে। ফেলে দেওয়া হয় তাঁর বাক্সের সমস্ত প্যাটিস। এরপরই দায়ের অভিযোগ। তারপর গ্রেফতারি।
যে কথা বৃহস্পতিবার নদিয়ার সভা থেকে তুলে ধরলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, ‘একটা হকার তাঁর জিনিস বিক্রি করতে গিয়েছে। সব মিটিংয়েই এটা দেখা যায়। তাঁর মাথায় খেলেনি যে এটা বিক্রি করব, ওটা করব না। ওকে ধরে মেরেছে। আমি ওদের সব ক’টাকে গ্রেফতার করিয়েছি। এটা বাংলা, উত্তর প্রদেশ নয়।’ এরপরেই গেরুয়া শিবিরের নিরামিষ সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে সরব হন তিনি। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিজেপিকে কি ভোট দেবেন? ওরা মাছ-মাংস খেতে দেয় না। নিরামিষ চাপিয়ে দেয়।’
এসআইআর নিয়ে সরব মমতা
নদিয়ার জনসভা থেকে এসআইআর-কেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় আগত কমিশনের পর্যবেক্ষকদের ‘বিজেপি মার্কা’ বলে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘দিল্লি থেকে বিজেপি মার্কা লোকেদের পাঠানো হচ্ছে। বলছে দেড় কোটি লোকেদের নাম বাদ দিতে হবে। ওরা জানে না বাংলা কারওর নাম বাদ দিতে দেবে না।’
বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ অনেকটাই শেষ। যাদের তথ্য নিয়ে বিভ্রাট, তাঁদের শুনানির জন্য় ডাকবে বলেই জানিয়েছিল কমিশন। এখনও কাউকে তলবের খবর মেলেনি, তবে করলে তৃণমূল সেই সকল মানুষদের পাশে রয়েছে বলেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার অভিযোগ তুলেছেন শুনানির মাধ্যমে নাম বাদ দেওয়ার।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘গতকাল একটা খবর শুনলাম, জানি না সত্যি কি না। যাঁরা ঠাকুমা, ঠাকুরদার নাম দিয়েছে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে, নাম বাদ দেওয়া হবে। যাঁরাই শুনানিতে যাবেন তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘শুনানিতে যাবেন। ফাইট করবেন। সরকার মে আই হেল্প ইউ তৈরি করে দিচ্ছে। পার্টির লোকেরাও সাহায্য করবে।’
