Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টাকা দিলে পাওয়া যায় ভুয়ো বাবা-মা’ও, ধর্ম পর্যন্ত বদল করে নদিয়ায় ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশিরা!

Nadia: ৫-১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রবেশ তো করে ফেলা যায়। কিন্তু বসবাস করার জন্য তো পরিচয় পত্র লাগবে। জানা যায়, টাকার দিলে বাবা-মাও তৈরি করে ফেলা যায়। আত্মীয় তৈরি করে নেওয়া যায়। এরপর সুযোগ বুঝে টাকা দিলেই সহজেই পেয়ে যাওয়া যায় ভারতীয় পরিচয় পত্র।

টাকা দিলে পাওয়া যায় ভুয়ো বাবা-মা'ও, ধর্ম পর্যন্ত বদল করে নদিয়ায় ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশিরা!
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2024 | 12:37 PM

নদিয়া: পাসপোর্ট-ভিসা লাগে না, টাকা দিলেই ভারতে প্রবেশ করা যায়। তৈরি করে ফেলা যায় পরিচয়পত্র। প্রয়োজনে ধর্ম বদল, তারপর স্থায়ী ঘাঁটি। ইচ্ছে হলে আবার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া, নাহলে জমির পর জমি কিনে বসবাস। এটাই নাকি চেনা চিত্র নদিয়ার। বাংলাদেশি ঢুকিয়ে নাকি পেট চালান বহু বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, এই বিষয়টায় নজর দিক গোয়েন্দারা।

জানা যাচ্ছে, দালালের হাতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেই সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা যায় ভারতে। গত এক বছরে প্রায় ১৯০ জন অনুপ্রবেশকারী ও দালালকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট জেলা পুলিশ। সংখ্যাটা যে আরও বেশি, তেমনটাই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। গত দেড় মাসেই গ্রেফতার হয়েছেন ৫২ জন। গত পাঁচ বছরে লক্ষাধিক বাংলাদেশি নদিয়া সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন মুসলিম, হিন্দু, পুরুষ, মহিলা বৃদ্ধ ও শিশুরাও।

৫-১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রবেশ তো করে ফেলা যায়। কিন্তু বসবাস করার জন্য তো পরিচয় পত্র লাগবে। জানা যায়, টাকার দিলে বাবা-মাও তৈরি করে ফেলা যায়। আত্মীয় তৈরি করে নেওয়া যায়। এরপর সুযোগ বুঝে টাকা দিলেই সহজেই পেয়ে যাওয়া যায় ভারতীয় পরিচয় পত্র। কেউ কেউ আবার সুবিধার্থে নিজের নাম, পদবী, ধর্ম পর্যন্ত বদল করে ফেলেন। এখানেই শেষ নয়। জমি জায়গা কিনে ব্যবসা পেতে ফেলা, চাকরি করার ঘটনাও নতুন নয়।

এই জেলায় একাধিক পরিবারের রয়েছে দুই দেশের নাগরিকত্ব। ওই পারে জমি রয়েছে, আবার এখানেও তারা এসে জমি জায়গা কিনছে, বসবাস করছে। এমনকী পরবর্তীকালে তারা পাসপোর্ট বানিয়ে চলে যাচ্ছে বিদেশে। এমন ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত এই দেশের গোয়েন্দা বিভাগ।

কেউ কেউ বলছেন, এই অনুপ্রবেশের পিছনে প্রশাসনিক স্তরের একাংশ না থাকলে, এটা কখনই সম্ভব হত না। প্রথমে প্রবেশ করিয়ে কারও বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়, পরে সুযোগ বুঝে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসন যদি আগে থেকে ব্যবস্থা নিত তাহলে এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটত না।