CAA Camp Vandalized: মতুয়া-নমঃশূদ্রদের জন্য তৈরি সিএএ ক্যাম্প ভাঙল বিজেপিই? কল্যাণীতে ‘গেরুয়া-কোন্দল’

CAA Camp in Kalyani: ঘটনা নদিয়া জেলার কল্যাণীর। সেখানে একেবার বিজেপির কার্যালয়ের পাশেই তৈরি হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিষয়ক সহায়তা শিবির বা সহজ ভাষায় সিএএ ক্যাম্প। কিন্তু এক রাতে সব তছনছ। অন্ধকারে সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ক্যাম্পের মধ্যেই চলল ভাঙচুর। ভেঙে দেওয়া হল বাইক। ছিঁড়ে দেওয়া হল পোস্টার-ব্যানার। কিন্তু কারা করল?

CAA Camp Vandalized: মতুয়া-নমঃশূদ্রদের জন্য তৈরি সিএএ ক্যাম্প ভাঙল বিজেপিই? কল্যাণীতে গেরুয়া-কোন্দল
চলল ভাঙচুরImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Oct 24, 2025 | 3:41 PM

নদিয়া: এসআইআর নিয়ে গরম হচ্ছে বাংলা। ভোটার তালিকার পরিমার্জনের দাবি তুলছেন খোদ বিজেপি নেতারাই। এসআইআর না হলে নির্বাচন হবে না, সাফ কথা তাঁদের। কিন্তু এসআইআর হলে বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের কী হবে? সেই মতুয়া, নমঃশূদ্রদের কথা ভেবেই শুরু হয়েছে বিজেপির সিএএ সহায়ক শিবির ক্যাম্প। কিন্তু এবার সেই ক্যাম্প ঘিরেই দেখা গেল ‘কোন্দলের’ ছবি।

ঘটনা নদিয়া জেলার কল্যাণীর। সেখানে একেবার বিজেপির কার্যালয়ের পাশেই তৈরি হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিষয়ক সহায়তা শিবির বা সহজ ভাষায় সিএএ ক্যাম্প। কিন্তু এক রাতে সব তছনছ। অন্ধকারে সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ক্যাম্পের মধ্যেই চলল ভাঙচুর। ভেঙে দেওয়া হল বাইক। ছিঁড়ে দেওয়া হল পোস্টার-ব্যানার। কিন্তু কারা করল? বিরোধী দলের ক্ষতি মানেই নিশানায় থাকবে শাসক শিবির। অবশ্য, এই ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটেনি। বিজেপির অন্দরেই তৈরি হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গুঞ্জন।

কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। বলে রাখা প্রয়োজন, দিনকতক আগেই অস্থায়ী সিএএ ক্যাম্প উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুর। এদিন নাম প্রকাশ্য়ে অনিচ্ছুক এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘এই ক্যাম্পটা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন। রাতে গোটা অফিস ভেঙে দেয়। ভাঙচুর চালায়। বিধায়কের নেতৃত্বেই এসব ঘটেছে। মণ্ডল সভাপতিও যুক্ত রয়েছেন। আমাদের কয়েকজনকে প্রচণ্ড মারধর করেছে ওরা।’

অবশ্য দলের অন্দরে তৈরি হওয়া গুঞ্জনে গুরুত্ব দিতে নারাজ কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা উড়িয়ে তৃণমূলের দিকেই দায় ঠেলেছেন তিনি। এদিন অম্বিকা রায় বলেন, ‘গতরাতে আমি খবর পেয়েছি, মণ্ডল সভাপতির কাছে গোটা বিষয়টা শুনেছি। জানতে পারলাম, সাড়ে ১১টার দিকে ওই সিএএ অফিসের কাছে কয়েকজন মদ-মাংস খাচ্ছিল। ওই সময় তো সিএএ-র কোনও কাজ হয় না। আমার মনে হয়, বিজেপির কেউ হলে সিএএ ক্যাম্পের সামনে এসব করবে না। এই সব কিছুই তৃণমূলের কারসাজি। ওদের কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। ওরা রাতের অন্ধকারে কাজ করে। এই কাজে বিজেপির কিছু মুখোশ পরা লোকও ছিল।’