Amsterdam to Tehatta: স্কুল-পড়ুয়া বান্ধবীর খোঁজে ‘সাত সমুদ্র পাড়ি’ দিয়ে নদিয়ায় হাজির বিদেশি
Amsterdam to Tehatta: তবে এত হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এই দেশে এসেও নিজের বান্ধবীর সঙ্গে শান্তি মতো কথা বলতে পারেননি হেনরিক। তাকে রুখে দিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

নদিয়া: নেদারল্যান্ডস থেকে সরাসরি কাদা-মাটির বাংলায়। নদিয়া জেলার তেহট্টে হাজির বিদেশি। সে খোঁজে এসেছে তার বিদেশিনীর। পেরিয়েছে সাত হাজার কিলোমিটারের পথ। যার সঙ্গে আলাপ হয়েছে সমাজমাধ্য়মে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার প্রথমে মায়াপুরে পৌঁছন হেনরিক। তারপর সেখান থেকে চলে যান তেহট্টের দিকে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তেহট্টে পৌঁছে যান তিনি। তারপর দেখা করেন, তার একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত বান্ধবীর সঙ্গে।
তবে এত হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এই দেশে এসেও নিজের বান্ধবীর সঙ্গে শান্তি মতো কথা বলতে পারেননি হেনরিক। তাকে রুখে দিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। কিন্তু দু’টি মানুষের বন্ধুত্বের মাঝে হঠাৎ কেন ঢুকে পড়ে পুলিশ?
স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে, বান্ধবীর সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়েই কথা বলছিলেন হেনরিক। যা নজরে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের। তারাই এসে হেনরিকের পরিচয় জানতে চায়। তার কথা শোনে। তারপর যেহেতু হেনরিকের বান্ধবী এখনও নাবালিকা। তাই তার সঙ্গে বেশিক্ষণ থাকার অনুমতি দেয় না পুলিশ। পাশাপাশি, তাকে আবার নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয় তারা। যা শোনেন হেনরিক এবং তাদের কথা মতোই ওই দিনটা তেহট্টে কাটিয়ে রওনা দেন নিজের দেশে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হেনরিককে নিজের স্কুল থেকে দেখতে পান সেই নাবালিকা। জানলা দিয়ে হাতও নাড়েন। তারপর তাকে দেখে উৎসাহিত হয়ে পড়েন হেনরিক। স্কুল শেষ হতেই হেনরিকের সঙ্গে সেখানেই দেখা করে ওই নাবালিকা। ৩০ মিনিট মতো কথা হয় তাঁদের মধ্যে। নাবালিকা বান্ধবীর হাতে একটি পুতুল তুলে দেন হেনরিক। তারপর চলে যান আবার নিজের দেশের উদ্দেশ্যে।

