
নদিয়া: বাড়িতে ছাগল ঢুকে পড়ায় বিবাদের সূত্রপাত। মহিলাকে রাস্তায় একা পেয়ে পরপর ধারাল অস্ত্রের কোপ। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হল শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলা চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত। নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ঝিটকা পোতা এলাকার ঘটনা। তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।।
মাস দেড়েক আগে প্রতিবেশীর বাড়িতে ওই মহিলার ছাগল ঢুকে পড়ায় বিবাদ বাঁধে। এরপর থেকেই ওই মহিলার উপর বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন ওই প্রতিবেশীরা। আহত মহিলার নাম আসিয়া শেখ। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। কোতোয়ালি থানার ঝিটকিপোতা এলাকার ঘটনা।
এক দেড় মাস আগে আসিয়া শেখের ছাগল সাজিদুল খানের বাড়ি গিয়ে গাছপালা খেয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। পরে সেটার মীমাংসাও হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার সকালে আসিয়া শেখ রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় আচমকা পিছন থেকে সাজিদুল খান ওরফে সাজি ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্রুত বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
চিকিৎসার জন্য শক্তিনগর হাসপাতালে পাঠানো হয় ওই মহিলাকে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত। তাঁর সন্ধানে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আক্রান্ত মহিলার ছেলে বলেন, “রাস্তার ধারে মায়ের মুদি দোকান রয়েছে। তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ কোপ মারা হয়েছে।” সাজিদুল খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ।