নদিয়া: বদল করা হল হাঁসখালি থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তীকে। হাঁসখালি থানা থেকে তাঁকে গাঙনাপুর থানায় বদল করা হয়। পরিবর্তে গাঙনাপুর থানার ওসি সুমন দাস এখন হাঁসখালি থানা নতুন ওসি। তবে ওসি বদলের নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফ থেকে বলা হচ্ছে নিয়ম মাফিক বদল করা হয়েছে ওসিকে।
সম্প্রতি হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ড ও নির্যাতিতার অস্বাভাবিক মৃ্ত্যু গোটা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। ঘটনার পাঁচ দিন পর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে তৃণমূল নেতার ছেলের নাম ওঠে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় আরও কয়েকজনকে। নাবালক-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি ও তদন্ত ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনায় তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে যায়।
ইতিমধ্যেই হাঁসখালি গণধর্ষণ কলকাতা হাইকোর্টে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে ২০ জনের বেশি সাক্ষীর কথা উল্লেখ রয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নদিয়ার হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দেয়। বন্ধুর বার্থ ডে পার্টিতে গিয়ে ‘গণধর্ষণে’ শিকার হতে হয় বছর চোদ্দোর এক কিশোরীকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য সেই রাতেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। দেহ জবরদস্তি জ্বালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ওসি- বদলের নেপথ্যে হাঁসখালির এই ঘটনা কাজ করছে কিনা, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
উল্লেখ্য, এর আগে পুরভোটের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের রাতে নদিয়ার তাহেরপুর থানার ওসি পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল অভিজিৎ বিশ্বাসকে। তাহেরপুর পৌরসভার সিপিএম ভাল ফল করতেই রাতারাতি ওই থানার ওসিকে বদল করা হয়। তাঁর বদলে আনা হয়েছিল ধানতলা থানার ওসিকে।