Hanskhali Physical Asault Case: মেয়ের শ্রাদ্ধে মিলছে না পুরোহিত, প্রভাবশালীর প্রভাবে এক ঘরে হাঁসখালির পরিবার!

Nadia: প্রথম দিন থেকেই প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠছিল অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তার প্রভাবের জন্য অনেকেই নাকি মুখ বন্ধ করে রাখেন ওই এলাকায়।

Hanskhali Physical Asault Case: মেয়ের শ্রাদ্ধে মিলছে না পুরোহিত, প্রভাবশালীর প্রভাবে এক ঘরে হাঁসখালির পরিবার!
'গণধর্ষণে' অভিযুক্তের বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2022 | 2:48 PM

হাঁসখালি: হাঁসখালি গণধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পরিবারের বিরুদ্ধে। এবার প্রভাব খাটানোর অন্য অভিযোগ। মৃত্যুর দশদিন পরেও হাঁসখালির নির্যাতিতার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে পারছেন না তাঁর বাবা-মা। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, শ্রাদ্ধের জন্য কোনও পুরোহিত কাজ করতে আসতে চাইছেন না তাঁদের বাড়িতে। যার কারণে মেয়ের এমন মর্মান্তিক পরিণতির পরও তাঁরা, তাঁর শেষ কাজটুকুও করতে পারছেন না।

প্রথম দিন থেকেই প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠছিল অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তার প্রভাবের জন্য অনেকেই নাকি মুখ বন্ধ করে রাখেন ওই এলাকায়। প্রধানের বিরুদ্ধে পুরনো একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও খবর। এখন নতুন সংযোজন, নিজের প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতিতা মেয়েটির বাড়ি শ্রাদ্ধের কাজ বন্ধ করে রেখেছে।

নাবালিকার পরিবারের দাবি, যে পুরোহিত এবং নাপিতের সঙ্গে কথা তাঁরা কথা বলেছিলেন শ্রাদ্ধের কাজ করবেন বলে, সেই পুরোহিত বা নাপিত কেউই কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না। ঠিক কী কারণে রাজি হচ্ছেন না তা তাঁরা স্পষ্ট করেননি। তবে মনে করা হয়েছে আইনি ঝামেলা বাঁচাতেই তাঁরা কাজ করতে অস্বীকার করছেন।

বস্তুত, নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে বাড়িতে ফেলেই চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। মাঝরাতে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। কাঠগড়ায় এলাকার দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার ছেলে।  অভিযোগ রয়েছে আরও বড়, মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি ওই নাবালিকার দেহ দাহ করতে বাধ্য করা হয় পরিবারকে। পাড়াপড়শি ডেকে জোর জবরদস্তি দেহ দাহ করা হয় বলে অভিযোগ।

জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। দু’টি মামলাই দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এরমধ্যে একটি মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাকারীরা দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন। তদন্ত ভার হাতে নেয় সিবিআই। বুধবার রাত বারোটা নাগাদ সিবিআই-এর তিন সদস্যের টিম হাঁসখালি থানায় পৌঁছয়। ওই দলে দুই মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক রয়েছেন। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই ছিলেন। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে রাতভর কথা বলেন তাঁরা। তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি বুঝে নেন। হাঁসখালির অফিসার ইন চার্জ ও অনান্য তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত ২ জন এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। আদালতে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই-এর তরফে হাঁসখালিতেই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Hanskhali Physical Asault Case: রাতভর হাঁসখালি থানায় নথি ঘেঁটে তথ্য তালাস, ধৃত ২ জনকে হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই