Hanskhali Physical Asault Case: রাতভর হাঁসখালি থানায় নথি ঘেঁটে তথ্য তালাস, ধৃত ২ জনকে হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই

Hanskhali Physical Asault Case: তদন্তে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত ২ জন এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই।

Hanskhali Physical Asault Case: রাতভর হাঁসখালি থানায় নথি ঘেঁটে তথ্য তালাস, ধৃত ২ জনকে হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই
হাঁসখালি তদন্তে সিবিআই।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2022 | 9:18 AM

নদিয়া: হাঁসখালিকাণ্ডে তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই তৎপর সিবিআই। বুধবার রাত বারোটা নাগাদ সিবিআই-এর তিন সদস্যের টিম হাঁসখালি থানায় পৌঁছয়। ওই দলে দুই মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক রয়েছেন। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই ছিলেন। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে রাতভর কথা বলেন তাঁরা। তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি বুঝে নেন। হাঁসখালির অফিসার ইন চার্জ ও অনান্য তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত ২ জন এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। আদালতে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে সিবিআই-এর তরফে। সিবিআই-এর তরফে হাঁসখালিতেই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে।

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে বড় প্রমাণ এল পুলিশের হাতে। তদন্তকারী পুলিশের দাবি, গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। যে বাড়িতে বার্থ ডে’র পার্টি চলছিল, সেখানেই মিলেছে প্রমাণ। সেখান থেকে বীর্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও মৃত কিশোরীর এক আত্মীয়ের তরফে পুলিশের হাতে এসেছে একটা কাপড়ের টুকরো। ওই কাপড়ের টুকরোটিই এখন তদন্তের অন্যতম অস্ত্র। এর ভিত্তিতে এরই মধ্যে পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া প্রমাণ এখনও ফরেনসিক ল্যাবে পাঠাতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনাটি প্রথম থেকেই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল পুলিশের কাছে। কারণ পুলিশের হাতে কোনও প্রমাণ আসছিল না। মৃত্যুর পর ওই কিশোরীর দেহ জবরদস্তি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ছিল না কোনও ডেথ সার্টিফিকেট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তো দূর অস্ত। প্রাথমিকভাবে তদন্ত এগোতে বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে। পরবর্তীকালে ‘প্লেস অব অকারেন্স’-এ যেখানে পার্টি চলছিল, সেখান থেকে কিছু নমুনা পাওয়া গিয়েছে। তাতে পুলিশ মনে করছে, ওখানে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, মৃত কিশোরীর পরিবারের তরফে একটি রক্তমাখা কাপড়ের টুকরোও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিজেপি পৃথকভাবে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। মঙ্গলবার রাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মৃত নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবারই নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে সিবিআই-এর।

আরও পড়ুন: বেথুন কলেজের ‘অধ্যাপক’ ছাত্রীকে ডাকতেন বাড়িতে, মডেলিংয়েরও প্রস্তাব দেন! ছাত্রীকে যেভাবে দেখল পরিবার…

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর বন্ধ হয় রক্তক্ষরণ, আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বোলপুরের নির্যাতিতার