Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: বেথুন কলেজের ‘অধ্যাপক’ ছাত্রীকে ডাকতেন বাড়িতে, মডেলিংয়েরও প্রস্তাব দেন! ছাত্রীকে যেভাবে দেখল পরিবার…

Fraud Case: পরিবারের আরও দাবি, প্রতিমের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল ওই ছাত্রীর। অভিযোগ, প্রতিম ওই ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে রেখে মডেলিং করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

Fraud Case: বেথুন কলেজের 'অধ্যাপক' ছাত্রীকে ডাকতেন বাড়িতে, মডেলিংয়েরও প্রস্তাব দেন! ছাত্রীকে যেভাবে দেখল পরিবার...
বারুইপুরে গ্রেফতার ভুয়ো অধ্যাপক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2022 | 7:08 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নিজেকে বেথুন কলেজের প্রফেসর বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তরুণীর পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন পড়াশোনার তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। বেথুন কলেজের হোস্টেল থেকে ছাত্রীকে নিজের বাড়িতেও ডাকতেন তিনি। এমনকি তাঁকে মডেলিং করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। (গোটা বিষয়টিই পরিবারের দাবি) তারপর আচমকাই রহস্যজনকভাবে ‘উধাও’ ওই তরুণী। কোনওভাবেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। অতঃপর  কলেজ, সেখান থেকে থানার দ্বারস্থ পরিবার। শেষমেশ পুলিশের জালে বেথুন কলেজের ভুয়ো অধ্যাপক। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধৃতের নাম প্রতিম দাস।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতিম নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তরুণীর পরিচয় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রতিম নিজেকে বেথুন কলেজের অধ্যাপক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ছাত্রী প্রতিমের কথা তাঁর পরিবারকেও জানিয়েছিলেন। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন প্রতিম। ছাত্রীর পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন, তাঁকে পড়াশোনায় সবরকম সাহায্য করবেন তিনি। পরিবারের দাবি, প্রতিমের কথাতেই পড়াশোনার সূত্রে ছাত্রী হোস্টেলে থাকতে শুরু করেন।

পরিবারের আরও দাবি, প্রতিমের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল ওই ছাত্রীর। অভিযোগ, প্রতিম ওই ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে রেখে মডেলিং করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত প্রতিমের আসল পরিচয় জানতে পারেননি ছাত্রী। যেহেতু কলেজে যাতায়াত ছিল প্রতিমের। মাঝে কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন কলেজের ক্লাস অনলাইনে হওয়ায়, ছাত্রীর মনে বিষয়টি প্রশ্নও জাগেনি। ছাত্রীটি মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যেত। প্রতিম সেই টাকাও হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই তাঁরা বাড়ির মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ফোন ‘নট রিচেবল’ বলছিল। তখনই তাঁরা প্রতিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কথাতে অসঙ্গতি থাকায় তাঁরা কলেজে গিয়ে দেখা করেন। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, ওই নামে কলেজে কোনও অধ্যাপকই নেই। এরপর থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা।

ঘটনার তদন্ত শুরু করে বারুইপুর মহিলা থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রীটির মোবাইল টাওয়ার লোকেট করে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার করা হয়। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন প্রতিম। গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। বারুইপুর মহিলা থানার পক্ষ থেকে ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

ছাত্রীর পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, “মেয়ে যা বলত, তাই বিশ্বাস করেছিলাম। মেয়েকেই ওই ব্যক্তি প্রফেসর বলে পরিচয় দিয়েছিল। আমরা তো দূরে থাকি, কথাতেই বিশ্বাস করেছিলাম। পরে কলেজে এসে বিষয়টি বুঝতে পারি।” যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। প্রতিম আদতে কী করতেন, সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রোদ, ভ্যাপসা গরমে ট্রাফিক সামলেও সামাজিক দায়িত্ব ভোলেননি এই সার্জেন্ট, নিয়মিত পড়াতে বসেন রাস্তার ধারেই