
নদিয়া: কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনে এখনও পর্যন্ত অধরা দেশরাজ সিং। তাঁর খোঁজে উত্তরপ্রদেশেও চলেছে তল্লাশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্রই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, কেবল কৃষ্ণনগরের ছাত্রী ইশিতাকে খুনের পর তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তের ছবি। এবার সাচ ওয়ারেন্ট নিয়ে কৃষ্ণনগরের ছাত্রী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সন্ধানে তদন্তকারীদের দল পৌঁছয় উত্তরপ্রদেশে।
সেখানে তল্লাশি চালিয়ে দেশরাজের কাকার ছেলে নীতিন প্রতাপ সিং ফোনের সূত্র ধরেই কুলদীপের সন্ধান মেলে।পাশাপাশি দেশরাজের সন্ধানে ওখানে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুলদীপ সিং-এর সন্ধান পায় পুলিশ। এর পর কুলদীপের মোবাইল লোকেশন ট্যাগ করে গুজরাটে জামনগরে কুলদীপের ডেরায় পৌঁছয় রাজ্য পুলিশ ও গুজরাট পুলিশের টিম। শনিবার দুপুরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়।
পাশাপাশি তাঁর মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং কুদীপের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও সূত্র পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এরপর তাঁকে গুজরাট জামনগর আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালতে ট্রানজিট রিমান্ড আবেদনের পর রবিবার তাঁকে বিমানে কলকাতা দমদমে নিয়ে আসে পুলিশ। সেখান থেকে গাড়ি করে দুপুরে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেশরাজকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা।
এছাড়াও ফোনে মাধ্যমে খুনের ঘটনার আগে ও পরে যোগাযোগ রাখার এবং মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খুনের ঘটনার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রটি কুলদীপ সরবরাহ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ও দেশরাজের সন্ধান পেতে কোতয়ালি থানায় টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলদীপ দেশরাজের সম্পর্কে মামা হয় এবং উত্তর প্রদেশের কুখ্যাত দাঙ্গাল মঙ্গলের গোষ্ঠী তাঁদের ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়।।