
নদিয়া: কৃষ্ণনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। সভামঞ্চে সম্ভবত জায়গা পাচ্ছেন না পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। সূত্র বলছে, আমন্ত্রণপত্র পাননি জেলা সহ সভাপতি রমেন ঘোষ ও জেলা তৃণমূল নেত্রী তৃণা ভৌমিক সাহা। আমন্ত্রণ না পাওয়া নেতারা সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরোধী বলেই পরিচিত। যাঁরা জেলার রাজনীতি নিয়ে চর্চা করছে, তাঁদেরই একাংশ বলছে, এটা আসলে গোষ্ঠীকোন্দলেরই বহিঃপ্রকাশ।
যে গেস্ট কার্ড করা হয়েছে, তাতে মহুয়া মৈত্রের নাম রয়েছে। দেখা গিয়েছে, যাঁরা বিগত দিনে জেলাস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের স্থানে ছিলেন, যাঁরা বিধায়ক, তাঁদের কাছেও এখনও পর্যন্ত গেস্ট কার্ড পৌঁছয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আমন্ত্রণতালিকা থেকে বাদ পড়া নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য সুনীল বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতির বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আগামিকাল সভার জন্য আমাদের কেউ ডাকেননি।’’
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে দুপুর ১২টায় জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। জেলার উন্নয়নের বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে সভার ঠিক আগেই জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই সভাতেই জেলার কয়েকজন শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীর নাম না থাকায়, স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়িয়েছে।
এদিকে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বেজে গিয়েছে। তার আগে জেলার শীর্ষস্তরের নেতারা প্রত্যেকেই নেত্র্রীর সভায় থাকতে চান। এরপর নেতানেত্রীদের কাছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার বিষয়টিকে নিশ্চিত করা। প্রত্যেকেই নেত্রীর নেক নজরে থাকতে চান। কিন্তু এইভাবে বেছে বেছে গেস্ট কার্ড দেওয়ার বিষয়টিতে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক এখন তুঙ্গে। চলছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।