নদিয়া: মায়াপুরে গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার যুবক ও এক বিদেশিনীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মায়াপুরের বামুনপুকুর গঙ্গার ঘাট থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের নাম মলয় সাহা ও যুবতীর নাম লীলা অবতার দাস। তিনি জন্মসূত্রে চিনা নাগরিক। তবে এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ইসকন মায়াপুরের কম্পিউটার কর্মী মলয় সাহা এবং তাঁর পরিচিত বিদেশিনী লীলা অবতার বামুনপুকুর গঙ্গার ঘাটে ঘুরতে যান। সেখানে একটি নৌকায় তাঁরা উঠেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রাত দশটা নাগাদ তাঁদের খোঁজ না পাওয়ায় জলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। নৌকাটিকে পাওয়া যায়। দেখা যায়, নৌকার তলায় জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মলয় সাহা কম্পিউটারের কর্মী ছিলেন। আর ওই যুবতী গঙ্গাপাড়ের ধারেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দু’জনেই মায়াপুরের ভক্ত ছিলেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। কেউবা বলছেন তাঁদের মধ্যে প্রেমও ছিল। মাঝেমধ্যেই তাঁরা এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন। সেটা স্থানীয়দের অনেকেই দেখেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বুধবারও সন্ধ্যায় তাঁরা একসঙ্গে গঙ্গা ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গঙ্গায় একটি নৌকায় ঘুরছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর আর তাঁদের দেখা যাচ্ছিল না। সকাল দশটা নাগাদ প্রথমে যুবকের দেহটি জলে ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় আরেকটি দেহ।
পরপর দুটি দেহ জলে ভেসে ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। নবদ্বীপ থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদৌ কি দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেন। যাঁরা ওই যুবক-যুবতীকে চেনেন, তাঁরা বলছেন দু’জনেই সাঁতার জানতেন। ওত রাতে গঙ্গার ঘাটে তাঁরা কেন গিয়েছিলেন, সে প্রশ্ন থাকছে। নবদ্বীপ থানার মায়াপুর ফাঁড়ির পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।