Nadia Firing: রাস্তা সারাই নিয়ে বিবাদে ‘চড়’, বদলা নিতেই তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি’, হাঁসখালি কান্ডে পুরনো বিবাদের তত্ত্ব খাঁড়া

Nadia Firing: পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে সহদেব যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই তাঁকে একা পেয়ে গুলি করা হয়। পরপর দুটি গুলি করা হয়।

Nadia Firing: রাস্তা সারাই নিয়ে বিবাদে 'চড়', বদলা নিতেই তৃণমূল নেতাকে 'গুলি', হাঁসখালি কান্ডে পুরনো বিবাদের তত্ত্ব খাঁড়া
হাঁসখালিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার আজ অস্ত্রোপচার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2022 | 11:46 AM

নদিয়া: রাস্তা ঢালাই করা নিয়ে বচসা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে চড়, আর তার বদলা নিতে পাল্টা মারধর। আর তারই পাল্টা বদলা নিতে ‘গুলি’। নদিয়ার হাঁসখালির তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ। আর তার নেপথ্যেই উঠে এল সেই একই পুরনো তত্ত্ব। রাজনৈতিক বিবাদ আর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বদলা। হাঁসখালির গুলিকান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরনো রাজনৈতিক বিবাদের কারণেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, সুব্রত বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে পুরাতন বিবাদ। গত পঞ্চায়েত ভোটে তিনি তৃণমূল টিকিটের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু সুব্রত টিকিট পাননি। তাঁর স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু হেরে যান। এলাকার একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে সহদেবকে চড় মারে। পরে লোকজন নিয়ে গিয়ে সুব্রত বিশ্বাসকে মারধোর করেন সহদেব। তখনই হুমিক দেন পরে দেখে নেওয়ার। পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাতে সহদেব যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই তাঁকে একা পেয়ে গুলি করা হয়। পরপর দুটি গুলি করা হয়। একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অপর গুলিটি তাঁর মাথার পিছনে লাগে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যাতেই সহদেব মণ্ডলকে  চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ অপারেশন হচ্ছে তাঁর। সকালে বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার বৃহস্পতিবার ভোরবেলা জ্ঞান ফিরেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানিয়েছে, মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হবে।

সহদেব মন্ডল পেশায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি করছেন, ওই এলাকায় কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণের জন্য দায়ী। যদিও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: বগটুই হত্যাকান্ডের জের, রামপুরহাটে SDPO হিসাবে নিয়োগ করা হল ঝাড়গ্রামের DSP-কে

আরও পড়ুন: দুপুর ২টোয় হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেবে সিট, আজই বগটুইয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা