Nadia: আটক বাড়ির কেয়ারটেকার, নমুনা সংগ্রহ ফরেনসিক টিমের, রানাঘাট জোড়া খুনে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে রহস্য
Nadia: বৃহস্পতিবার রানাঘাট পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতি সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়ি চালক রূপম দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক আধিকারিকরা।
নদিয়া: রানাঘাটের জোড়া খুনের রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাড়ির কেয়ারটেকারকে আটক করেছে পুলিশ। দীপক কর্মকার নামে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রানাঘাট পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতি সুমন চক্রবর্তী ও তাঁর গাড়ি চালক রূপম দাসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক আধিকারিকরা। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুটি দেহতেই একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় রয়েছে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরে এখনও রক্তের দাগ পড়ে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি দেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়, আরেকটি দেহ বাড়ির সামনের জমি থেকে। সেখানে শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে একটি শাবলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাতেই বাড়ছে চাপ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসডিপিও রানাঘাট। ভিডিয়ো করা হয় সমস্ত ঘটনার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ চালক রূপককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন সুমন। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তাঁরা বাড়ি না ফেরায় মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তাঁদের ফোনে পাওয়া যায়নি। তার পর সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা। রূপকের পরিবারের দাবি, কেউ বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।