নেতাজীকে নিয়ে রাজনীতি করবই, কারোর বাপের হিম্মত থাকলে আটকাক: দিলীপ
নদিয়া: “নেতাজী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করব। কারোর বাপের হিম্মত আছে তো আটকাক।” নদিয়ার ধুবুলিয়ায় একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রবিবার নদিয়ার উত্তরের বিজেপি শিক্ষা সেলের সংগঠনের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানার হাঁসডাঙা এলাকায় একটি কার্যবাহী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য […]
নদিয়া: “নেতাজী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করব। কারোর বাপের হিম্মত আছে তো আটকাক।” নদিয়ার ধুবুলিয়ায় একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
রবিবার নদিয়ার উত্তরের বিজেপি শিক্ষা সেলের সংগঠনের পক্ষ থেকে ধুবুলিয়া থানার হাঁসডাঙা এলাকায় একটি কার্যবাহী বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “জয় শ্রী রামকে যারা ভয় পায় তাদের রাজনীতি করা উচিত নয়। আমাকে তো প্রতিদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গো ব্যাক স্লোগান, কালোপতাকা দেখায় আমি তো রিয়্যাক্ট করি না।”
তাঁর কথায়, “যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় শ্রী রাম বলার জন্য লোককে জেলে পাঠায়, পুলিস দিয়ে পিটাপিটি কতরিয়েছে গালি দিয়েছে তাঁর তো এটাই পাওনা আছে। আমার তো খুশি হওয়া উচিত জয় শ্রী রাম বললে, ওরা তো জয় বাংলা বলে, কখনও কী জয় মা কালী কে বলেছে।”
এরপরই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নেতাজীকে নিয়ে অবশ্যই রাজনীতি করব। কারও বাপের হিম্মত আছে আটকাক। নেতাজি একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন।” যদিও এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
‘নেতাজীকে নিয়ে রাজনীতি করবই, কার বাপের সাধ্যি আছে আটকাক!’@DilipGhoshBJP। @BJP4Bengal । #TV9Bangla pic.twitter.com/dQW8nt5Z1W
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) January 24, 2021
আরও পড়ুন: ‘৩০ শতাংশ ভোটারকে খুশি করতে এমনটা করলেন’, মমতাকে এক হাত কৈলাসের
উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে ‘পরাক্রম দিবস’–এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই সৃষ্টি হয় এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের বক্তৃতা শেষে মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিতে উঠলেই ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকে এক দল জনতা। শেষমেশ বক্তৃতাই রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়ে নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহলের একাংশ।