Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: সরকারি প্রকল্পে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী

Nadia: দেবপ্রকাশের দাবি, তিনি সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও বিভিন্নভাবে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়। এদিন সজল ধারা প্রকল্পের স্থানে গিয়ে দেখেন পাইপের মুখ সিমেন্ট বালি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Nadia: সরকারি প্রকল্পে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী
সরকারি প্রকল্পেও কাটমানি!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2025 | 5:04 PM

নদিয়া:  সরকারি প্রকল্পের পানীয় জলের কল বসাতে গেলে দিতে হবে কাটমানি। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ, কাটমানি টাকা না দেওয়ায় কলের পাইপের মধ্যে ঢেলে দেওয়া হয় সিমেন্টের ঢালাই। অভিযোগ সরকারি প্রকল্পের কাজ করতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় কংক্রিটের ঢালাই করে বন্ধ করে দেওয়া হয় সজল ধরার পাইপ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য নদিয়ার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপাড়া এলাকার ঘটনা।

ঠিকাদার দেবপ্রকাশ বিশ্বাসের অভিযোগ, তিনি সজল ধারা প্রকল্পের টেন্ডার নিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ চলার সময় বেশ কিছু অর্থ ব্যয় করেছেন, কিন্তু হঠাৎ তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ।

দেবপ্রকাশের দাবি, তিনি সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে আরও বিভিন্নভাবে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়। এদিন সজল ধারা প্রকল্পের স্থানে গিয়ে দেখেন পাইপের মুখ সিমেন্ট বালি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারের অভিযোগ, প্রায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয় তাঁর কাছ থেকে। এই ঘটনা তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রধান।

পরবর্তীতে বিডিও অফিসে অভিযোগ করেন দেবপ্রকাশ। তাঁর দাবি, “প্রকল্পের কাজের শুরু থেকেই ইঞ্জিনিয়ারকে দেখিয়ে নিয়ে তিনি কাজ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকি আসে, এবং বিভিন্নভাবে তার কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় যে সজল ধরা প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রধানের স্বামী।”

বিচার চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের । যদিও এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান মমতা বিশ্বাস। তার বক্তব্য, “ওই ঠিকাদার কোন অভিযোগই করেননি, তিনি যেটা অভিযোগ করছেন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” রানাঘাট ১-এর বিডিও জয়দেব মণ্ডল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”