নদিয়া: সকাল-সকাল মর্মান্তিক ঘটনা। নর্দমা থেকে উদ্ধার হল একরত্তির মৃতদেহ। ঘোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। নদিয়া নবদ্বীপের ঘটনা। এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক সদ্যোজাতকে। আর তারপরই শোরগোল পড়ে যায়।
সোমবার সকালে নবদ্বীপ পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দীপাড়া রোড এলাকার ঘটনা। সেখানে একটি নর্দমার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় শিশুটিকে। সকালবেলা প্রাতঃভ্রমণকারীরা বেরিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎই তাঁরা লক্ষ্য করেন নর্দমার মধ্যে পড়ে রয়েছে একটি শিশু। তৎক্ষনাত তাঁরা খবর দেয় পুলিশকে। এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি পৌঁছায় ওই এলাকার সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন কুমার আচার্য।
এদিন স্বপনবাবু বলেন, “নর্দমায় জল কম ছিল। সেখানেই এক শিশুকে কেউ ফেলে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর কুকুরে তুলে রেখেছিল সেই বাচ্চাটিকে। পরে পুলিশে খবর দিলাম। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেল হাসপাতালে।”
পুলিশের সহযোগীতায় একরত্তিকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার জেলা থেকে উঠে আসে ঘৃণ্য অপরাধের ছবি। পিতৃহারা ছেলে একাই চাইছিলেন সম্পত্তি। কিন্তু বাপ-মরা মেয়ে দুটোর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ছেলেকেই সব দিয়ে দিতে চাননি মা! আর তাতেই পাথর দিয়ে মায়ের মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের বাথানগাছি পাবানপাড়া এলাকায়।
পাবানপাড়ার বাসিন্দা দীপালি ঘোষের স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছর খানেক আগে। তাঁর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। কোনওমতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান দীপালি। তাঁর একমাত্র ছেলে সুকেশ ১৮ বছর বয়স হতেই বিয়ে করেন এবং স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন। দীপালি ঘোষের অভিযোগ, তাঁর স্বামীর তিন বিঘা চাষের জমিতে বাড়ি করে থাকেন ছেলে। আর চাষবাস করেন। একাধিকবার ছেলে বলেছিল জমি বাড়ি লিখে দিতে কিন্তু তা দিতে না চাওয়ায় এই ঘৃণ্য কাজ করে অভিযুক্ত।