বাতিল উচ্চমাধ্যমিক, ‘আত্মঘাতী’ ফের এক পরীক্ষার্থী

শান্তিপুরের বাগআঁচড়ার বাসিন্দা মৃতা স্বপ্না হাজরার পরিবার জানিয়েছে, বছর আঠারোর স্বপ্না বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিল। বরাবরের কৃতি ছাত্রী স্বপ্না মাঝেমধ্যেই পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ নিত।

বাতিল উচ্চমাধ্যমিক, 'আত্মঘাতী' ফের এক পরীক্ষার্থী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2021 | 6:07 PM

নদিয়া: ফের মানসিক অবসাদ। ফের ‘আত্মঘাতী’ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। পরীক্ষা বাতিলের জেরে মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছে অনেক পরীক্ষার্থী। চলতি মাসের শুরুতেই পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ‘আত্মঘাতী’ (Suicide) হন কোচবিহারের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গত সপ্তাহে নদিয়ায়,  একই কারণে, মৃত্য়বরণ করেন এক দশম শ্রেণির ছাত্রী। এ বার ‘আত্মঘাতী’ নদিয়ার এক উচ্চমাধ্য়মিকের পরীক্ষার্থী। মৃত পরীক্ষার্থীর নাম স্বপ্না হাজরা।

শান্তিপুরের বাগআঁচড়ার বাসিন্দা মৃতা স্বপ্না হাজরার পরিবার জানিয়েছে, বছর আঠারোর স্বপ্না বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিল। বরাবরের কৃতি ছাত্রী স্বপ্না মাঝেমধ্যেই পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ নিত। পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছুদিন বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলছিল না স্বপ্না। সবসময়েই মনমরা হয়ে থাকত। বুধবার সকালে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ স্বপ্নার দাদা পলাশ বোনকে ডাকতে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো স্বপ্নার ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন নিজের মাকে। খবর দেওয়া হয় পাড়া প্রতিবেশীদেরও। তড়িঘড়ি স্বপ্নাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্বপ্নার দাদা পলাশ হাজরার কথায়, “পড়াশোনা নিয়ে বরাবরই খুব চাপ নিত বোন। পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর থেকেই মনমরা হয়ে ঘুরত। ও যে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে তা ভাবিনি।” শান্তিপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্বপ্না আত্মহত্যাই করেছে। তবে এই ঘটনার পেছনে অন্য় কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, করোনাকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি না তা নিয়ে গভীর সংশয়ে ছিল রাজ্য সরকার। গত ৭জুন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত পঁয়ত্রিশ হাজার মেইলের (Email) উপর নির্ভর করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: বাতিল মাধ্যমিক, ‘মা-বাবাকে দেওয়া কথা’ না রাখতে পেরে ‘আত্মঘাতী’ পরীক্ষার্থী!