
নদিয়া: তিনি যেন ক্লাসের ‘ফার্স্ট বয়’। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অনন্য। যখন বাংলায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজ ঘিরে একাংশের বিএলও-র মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। অপ্রত্য়াশিত কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। সেই আবহেই মাত্র ১৭ দিনের মাথায় এসআইআর প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করলেন নদিয়ার ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল।
তিনি নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের ৮৯/১০১ নম্বর পার্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও। পেশায় স্থানীয় বড় চুপরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষক। মাত্র ১৭ দিনের মাথায় ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ করেছেন তিনি। ডিজিটাইজড করেছেন ৮০৬ জন ভোটারের তথ্য। তারপর আবার মন দিয়েছেন ক্লাসে। তবে এই ভোটার তালিকা ‘শুদ্ধিকরণের’ কাজের সময় যে সে দিকে তাঁর মন ছিল না এমনটাও নয়। দুই দিকই সমান ভাবে সামলেছেন ওয়াহিদ।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি কমিশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রথমে আলোচনা সেরে নিয়েছিলাম। কীভাবে করলে কাজটা দ্রুত এগোতে পারে, সবটাই বুঝে নিয়েছিলাম। আমি প্রথম দু’দিনেই ২০০ জন ভোটারের হাতে ফর্ম তুলে দিয়েছিলাম। আমার বুথের মানুষজনও অনেকটা সচেতন। সবাই সময় মতো ফর্ম ফেরত দিয়েছেন।’ ওয়াহিদের সাফল্যে খুশি কমিশন। কাজ শেষ করা মাত্রই তাঁকে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন এলাকার বিডিও। কমিশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে বাহবা পেয়েছেন ওয়াহিদ। তবে এই সময়কালে যে তাঁর অসুবিধা হয়নি, এমনটা নয়। তিনি জানিয়েছেন, ‘সমস্যা কখনও হয়নি বলব না, তবে চাপ তৈরি হয়নি। অসুবিধা হয়েছে, সেটা পারও করেছি।’
ওয়াহিদ পেরেছেন, তাঁর মতো পেরেছেন ১২১ জন বিএলও। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিএলও-রাই ‘রিয়েল হিরো’। কিছু বিএলও খুব ভাল করছেন। তবে এনাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। যেমন দক্ষিণ দিনাজপুরের নারায়ণ কুমার লাহা, কালিম্পঙের লিডিয়া লেপচা, নদিয়ার ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল, অবিনাশ খাওয়াস, জলপাইগুড়ির সঞ্জয় প্রামাণিক।’