হাঁসখালি : হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়িতে গেল এসএফআই-র প্রতিনিধি দল। কিছুদিন আগেই ট্রেনে চেপে হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন সিপিএম-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এইবার নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এসএফআই-র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। সেখান থেকেই শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। হাঁসখালি গণধর্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ করলেন। শাসক দলের উপর আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন যে, গোটা রাজ্য়টা জতুগৃহে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার বাড়ি গেল এসএফআই-র প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “কলকাতা থেকে উনি বলে দিচ্ছেন মেয়েটি প্রেগন্যান্ট ছিল না লাভ অ্যাফেয়ার ছিল? ভয়ে উনি এখানে আসছেন না।” উল্লেখ্য, হাঁসখালির গণধর্ষণ কাণ্ডের পর নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছে সিপিএম ও বিজেপির প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিরাও। তবে এখনও পর্যন্ত শাসকদলের কোনও প্রতিনিধিকে সেখানে দেখা যায়নি। এদিকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন যে, নাবালিকার পরিবার অত্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই অবিলম্বে পরিবারকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদানের দাবি তোলেন ছাত্র নেতা।
রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “গোটা রাজ্যটা জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমাদের বলতে লজ্জা হয় যে নিগৃহীতা পরিবারেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সবার মুখ্যমন্ত্রী নন। যারা দুর্নীতি করে, যারা ধর্ষণ করে, যারা মানুষ খুন করে তিনি শুধু তাদের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। আমরা প্রতিবাদ করছি এবং আগামী দিনেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব।” উল্লেখ্য, হাঁসখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক দাপুটে তৃণমূল নেতার ছেলের। তাকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। ৪ এপ্রিল ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতেই তাঁর ছেলের বার্থ ডে পার্টি ছিল। সেখানেই ওই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে।