AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Worker’s death: ‘ফোনটা আসতেই শুনলাম,মেরে ফেলেছে’, বচসার জেরে তৃণমূল কর্মীকে কোপের উপর কোপ!

Death: শাসক শিবিরের অভিযোগ,  বুধবার সন্ধেবলায় দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে রাস্তায় কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ ও শ্যামল। সেই বচসার জের ক্রমে বাড়তে থাকলে আচমকা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারাল ছোরা দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

TMC Worker's death: 'ফোনটা আসতেই শুনলাম,মেরে ফেলেছে', বচসার জেরে তৃণমূল কর্মীকে কোপের উপর কোপ!
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 7:59 PM
Share

নদিয়া: মাত্র  ৪৫ মিনিট। সেই ৪৫ মিনিটেই এমন ভয়াবহ বিপদ হতে পারে ভাবতে পারেননি তৃণমূল নেতা। দলের বৈঠক সেরে ফেরার পথে তাঁরই দলের দুই কর্মীকে কুপিয়ে মারার অভিযোগ উঠল বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কল্যাণীর গয়েশপুর এলাকার। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কর্মীরা হলেন প্রদীপ শীল ও শ্যামল দেবনাথ। দু’জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রদীপ শীলের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ্যামল দেবনাথ।

ঠিক কী হয়েছিল? শাসক শিবিরের অভিযোগ,  বুধবার সন্ধেবলায় দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে রাস্তায় কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ ও শ্যামল। সেই বচসার জের ক্রমে বাড়তে থাকলে আচমকা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারাল ছোরা দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আচমকা এভাবে আক্রমণের জেরে কার্যত গুরুতর জখম হন ওই দুই কর্মী।  ছোরার কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রদীপের রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যান প্রদীপ।

এদিকে, শোরগোল শুনে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। রক্তাক্ত প্রদীপ ও শ্যামলকে উদ্ধার করে তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রদীপকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জখম শ্যামলকে কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই আপাতত তিনি চিকিত্‍সাধীন।

ঘটনায়, আক্রান্ত শ্যামলের স্ত্রী চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বলেন, “সকালে সেই যে লোকটা ভাত খেয়ে বেরল আর বাড়ি ফেরেনি। আমি চিন্তা করছি, মেয়েটাকে বললাম খোঁজ নিতে…কোথায় গেল…তারপর ফোনটা এল…ফোনটা আসতেই শুনলাম মেরে ফেলেছে। আর কিছু জানি না। কোথায় কী, কীভাবে হয়েছে কিছুই জানি না….”

গয়েশপুর টাউন তৃণমূলের সম্পাদক সাগর রায় চৌধুরীর কথায়, “মাত্র ৪৫ মিনিটের ব্যাপার। দলেরই মিটিং সেরে বেরিয়েছিলাম। সেইসময় আমার মেয়েটা বায়না করল, তাই আগে আগে চলে এলাম। ওইটুকু সময়ে শুনি, বিজেপির সহ-সভাপতির অনুগামীরা এসে ঝামেলা শুরু করে। সেই ঝামেলায় আচমকা ওরা আমাদের দলের কর্মীদের উপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। প্রদীপ আর শ্যামলকে এত কুপিয়েছে যে এত কুপিয়েছে যে কিছু বলার নেই। রক্তে ভেসে গিয়েছে সবদিক। প্রদীপ মারা গিয়েছে। শ্যামলের যা অবস্থা তাতে বাঁচবে কি না জানি না। আমি এর বিচার চাই।”

অন্য আরেক তৃণমূল নেতার কথায়, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাঁচাতে পারিনি। আমি গোটা ঘটনাটা আইসিকে জানিয়েছি। যিনি আহত হয়েছেন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দেব।”

তৃণমূল কর্মীদের উপর ‘হামলার’ ঘটনায়, বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “বিজেপি এইধরনের হিংসার রাজনীতি করে না। ২ মে-র পর থেকে তৃণমূল যেধরনের সন্ত্রাস চালিয়েছে তাতে একাধিক বিজেপি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। এই ধরনের সন্ত্রাস তৃণমূল চালাচ্ছে। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”

হামলার ঘটনায় কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। কল্যাণী থানার পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Coal Mining Project: পাচামি-প্রকল্প নিয়ে এখনও বিতর্ক, ৯ বছর পর ফের লোবায় কয়লা শিল্পে তত্‍পর প্রশাসন