নদিয়া: উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে (Kedarnath) ট্রেকিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন কল্যাণীর (Kalyani) সগুনা পঞ্চায়েতের সুভাষনগরের বাসিন্দা অলোক বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আরও ৯ বন্ধু। কিন্তু, ট্রেকিংয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি অলোকের। বাড়ির ছেলের খোঁজ না পেয়ে চরম চিন্তায় দিন কাটছিল পরিবারের। এদিকে অলোকের খোঁজ না পেয়ে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও বিশেষ সদুত্তর মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে খবর। অবশেষে এল চরম দুঃসংবাদ।
সূত্রের খবর, পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অলোক গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে পাড়ার এক বন্ধুর সঙ্গে রওনা দেন কেদারনাথের সঙ্গে। তাঁকে নিয়ে তাঁদের দলে ছিলেন মোট ১০ জন। মহাঅষ্টমীর দিন মা মাধবী বিশ্বাস ও স্ত্রী তনুজা বিশ্বাস চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা হয়। লক্ষ্মী পুজোর দিন আবার কথা বলবেন বলেছিলেন। কিন্তু, তারপর পরিবারের তরফে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি অলোক। টিমের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা হয়। সূত্রের খবর, তাঁরা জানান অলোকের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেবেন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অলোকের সঙ্গে পরিবারের কথা হয়নি। শেষে তাঁদের কাছে এসে পৌঁছায় অলোকের মৃত্যু সংবাদ। এ খবরেই শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অলোকের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনেরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী বলেন, “অষ্টমীর দিন শেষ আমার সঙ্গে ওর কথা হয়। তারপর আর কথা হয়নি। কিন্তু, বন্ধুরা ওর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আমার নিশ্চিন্ত ছিলাম। এরইমধ্যে সকালে একটি হিন্দি খবরের চ্যানেল থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে। আমিই ফোন ধরে বলি আমি ওর স্ত্রী। তখনই ওর বলে অলোকের পোস্টমর্টেম হয়ে গিয়েছে। এটা শুনে আমি তো কি বলব বুঝতেই পারিনি। আমি দিশাহারা হয়ে যাই।”