Cancer : ক্যান্সারের যন্ত্রণা সইতে না পেরে নিজের পেটে ব্লেড চালালেন মহিলা, হাসপাতালে মৃত্যু
Cancer : পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ আচমকা নিজের পেটে ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফুলমালা বর্মণ। তাঁর চিৎকার শুনে ঘরে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহেশগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নদিয়া : দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন ক্য়ান্সারে (Cancer)। ক্রমেই বাড়ছিল কর্কট রোগের যন্ত্রণা। আর সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নিজেই নিজের শরীরে ব্লেড চালালেন মহিলা। দ্রুত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে গেলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত মহেশগঞ্জ হাসপাতাল পাড়া এলাকায়। এই এলাকাতেই থাকতেন ফুলমালা বর্মণ। বেশ কিছু মাস আগে তাঁর লিভারে ক্যান্সার ধরে পড়ে। ক্যান্সার ধরা পড়ার থেকে তিনি মনকষ্টেও ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন ফুলমালা দেবীর পরিবারের সদস্যরা। প্রায়শই তীব্র যন্ত্রণায় ছটফটও করতেন। করতেন চিৎকার। সেই যন্ত্রণাই বাধ ভাঙায় তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন বলে জানাচ্ছেন তাঁর নিকট আত্মীয়রা।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ আচমকা নিজের পেটে ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকার শুনে ঘরে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহেশগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনা প্রসঙ্গে ফুলমালা দেবীর বাড়ির সদস্য শীলা বর্মণ বলেন, “ওনার লিভারে ক্যান্সার হয়েছিল। ভুগছেন প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে। বাড়ছিল কষ্টও। জ্বালা যন্ত্রণা সইতে না পেরে নিজেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ব্লেড চালিয়ে দেন পেটে। কাল রাত ১২টা নাগাদ এ কাণ্ড করেছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মারা গিয়েছেন আজ সকাল ৮টা নাগাদ।”