নদিয়া: দু’ লক্ষের বেশি ভোটে (West Bengal elections 2021) জিতবেন। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে আত্মপ্রত্যয়ের এমন সুরই ধরা পড়ল মুকুল রায়ের (Mukul Roy) গলায়। ২০ বছর পর ভোটের ময়দানে মুকুল। এতদিন পর ওয়াররুম থেকে বেরিয়ে ওয়ার জ়োনে নেমেছেন তিনি। তবে এই দীর্ঘ ব্যবধানকে খুব একটা আমল দিতে চাইছেন না বিজেপির এই সর্বভারতীয় স্তরের নেতা। বরং আত্মবিশ্বাসী মুকুল বলছেন, এত বছর পর বাংলায় আক্ষরিক অর্থে নির্বাচন হবে। আর তাতে বিজেপিই জয়ী হবে।
কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির বাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের চাণক্য মুকুল রায়। গত ২০ বছর ধরে তাঁর ভূমিকা অনেকটা মেঘনাদের মত ছিল। আড়ালে থেকে যুদ্ধ করে গিয়েছেন। রণকৌশল ছকে দিয়েছেন দলকে। সে পথেই এগিয়ে গিয়েছে লড়াই। এবার ওয়াররুম ছেড়ে মুকুল নেমেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে।
দল নাম ঘোষণা ইস্তক চুটিয়ে প্রচার করছেন মুকুল রায়। শুক্রবার কৃষ্ণনগর মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। ভোটযুদ্ধের এই পর্বে তাঁর সঙ্গী হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না হলে মোদির অফিসে গিয়ে ধর্না দেব, হুঁশিয়ারি মমতার
সামনে পিছনে প্রচুর ঢাকি, রণপা, পুতুল নাচ, আদিবাসী নৃত্য, গানের দল—একেবারের উৎসবের আবহ কৃষ্ণনগরে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি এগিয়ে ছিল। গেরুয়া শিবিরের প্রত্যাশা, বিধানসভা ভোটে এই আসন তাদের ঘরেই আসবে। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে মুকুল রায় বলেন, “এতদিন বাংলায় নির্বাচন হত না, এবার প্রথম হচ্ছে। তা করে দেখাচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমি ২ লক্ষ ভোটের কাছাকাছি জিতব।” যদিও ২০ বছর আগে যখন তিনি জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন, জয়ের মুখ দেখতে পাননি। এবার সে গেরো কাটে কি না তা দেখার।