Physical Harassment: গাংনাপুরকাণ্ডে কবর থেকে তোলা হল নির্যাতিতার দেহ, কোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত

Gangnapur Case: গত ৬ মার্চ গাংনাপুর থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।

Physical Harassment: গাংনাপুরকাণ্ডে কবর থেকে তোলা হল নির্যাতিতার দেহ, কোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 4:17 PM

নদিয়া: গত মার্চ মাসে নদিয়ার গাংনাপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, ওই বধূকে ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। সপ্তাহখানেক হাসপাতালের বিছানায় যমে মানুষে টানাটানি চলে। এরপরই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালতে মামলা দায়ের হয়। চলতি সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হবে। সেই নির্দেশ মেনেই শনিবার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ময়নাতদন্ত হয়। গত ৬ মার্চ গাংনাপুর থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। নির্যাতিতাকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি প্রথমে বারাসত হাসপাতাল ও পরে বেসরকারি একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেও চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে পরিবারের মধ্যে। অবশেষে কল্যাণীর জেএনএম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু আর তাঁর লড়াই করার শক্তি ছিল না। ১৪ মার্চ সেখানেই তিনি মারা যান।

পরদিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপরই দেহ কবর দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পরিবার সাতজনের নামে গাংনাপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করে। ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সন্তানকে নিয়ে গাংনাপুরের বাড়িতে থাকতেন তিনি। অভিযোগ, ৬ মার্চ রাতে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়।

নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ ছিল, তিনি গাংনাপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও সেখানে কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর তিনি থানায় চিঠি লিখেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াতেই অবশ্য পুলিশের তরফে তৎপরতা দেখা যায়। এফআইআর দায়ের করা হয়। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন এই ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে।

আরও পড়ুন: Fraud Case: সরকারি চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার