নদিয়া: লোকসভা ভোটের আগে বাংলার রাজনীতিতে উঠে এল এক ‘রানি মা’-র নাম। রাজ পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির যোগাযোগ এ দেশে নতুন নয়। ত্রিপুরা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশের মতো একাধিক জায়গায় রাজ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এবার বাংলায় রাজনীতিতে পা রাখলেন ‘রানি মা।’ এই নামেই কৃষ্ণনগরের মানুষ চেনেন অমৃতা রায়কে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্য তাঁর স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায়। সেই সূত্রের রানি মা বলে তাঁকে সম্বোধন করেন কৃষ্ণনগরের মানুষ। বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মঞ্চেই জল্পনা সত্যি হয়। বিজেপিতে যোগ দেন অমৃতা রায়। তবে, রাজনীতির সঙ্গে তাঁর বা তাঁর পরিবারের সক্রিয় কোনও যোগ ছিল বলে জানা যায় না। একসময় ফ্যাশন ডিজাইনার ছিলেন এই ‘রানি মা’।
১৯৬১ সালে জন্ম অমৃতা রায়ের। বিয়ে হয় ১৯৮১ সালে। কলকাতাতেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। স্কুলজীবনের পাঠ নিয়েছেন কলকাতার লা মার্টিনিয়ার স্কুলে। পরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোন করেন রানি বিড়লা কলেজ থেকে। এরপর স্নাতকের পাঠ নেন কলতাকার লরেটো হাউস থেকে। দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।
শুধু পুঁথিগত পড়াশোনাই নয়, পেশাগত পাঠও নিয়েছেন অমৃতা রায়। জানা যায়, টিচার্স ট্রেনিং কোর্স করেছিলেন তিনি। পরে কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়ার স্কুল থেকে মন্টেসরি কোর্সও করেন। এরপর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনিং-কে।
রাজ পরিবারের সদস্য হলেও বর্তমানে অমৃতা রায় ও তাঁর পরিবার থাকে কলকাতাতেই। তাঁদের সন্তান মনীশ চন্দ্র রায় বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। কলকাতা থাকলেও যে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানেই তাঁদের দেখা যায় কৃষ্ণনগরে। দুর্গা পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ধুমধাম করে পালিত হয় রাজবাড়িতে। হাজির হন এলাকার বাসিন্দারা। শোনা যায়, একসময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই রাজ পরিবারের। তবে এভাবে সরাসরি রাজনীতিতে পা দেওয়া এই প্রথম।