
নন্দীগ্রাম: বছর পঁচিশ বয়স। শনিবার কল্যাণী এইমস থেকে বিকাল নাগাদ নন্দীগ্রামে মৃতার বাড়িতে পৌঁছল দেহ, তখন গোটা এলাকা থমথমে। প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে, গিজগিজ করছে লোক। কিন্তু কারওর মুখে একটা শব্দ নেই। শুধু কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ভেসে আসছে একটা আর্তনাদ, গোঙানি। মৃতার মায়ের।
কিন্তু কী হল তাঁর সঙ্গে? বেঙ্গালুরু থেকে নার্সিং ট্রেনিং। তারপর মনে হাজার স্বপ্ন বুনে সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের এই নিহত। তারপর তিন দিন কাটতে না কাটতেই বুধবার রাতে নার্সিংহোমের চারতলায় একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই নার্সের দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর পরিবারের দাবি মেনেই শুক্রবার কল্যাণী এইমসে হয় ময়নাতদন্ত। গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
এই মৃত্যু কি সত্যি অস্বাভাবিক? তিন দিন হল কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সবটাই যেন ধোঁয়াশা। অবশ্য মৃতার বাবা কিন্তু ধোঁয়াশা দেখছেন, তিনি বলছেন, এর নেপথ্য়ে রয়েছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
এদিন মেয়ের দেহ বাড়ি পৌঁছতেই এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দাবি মতোই ময়নাতদন্ত হয়েছে। কিন্তু আমি তারপরেও বলছি, আমার মেয়েকে ধর্ষণ এবং মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে মেরে দিয়েছে। তারপর রাতের অন্ধকার, প্রায় ১১টার আগে ওখানকার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ও নার্সিহোমের এক কর্মচারী প্রমাণলোপাটের জন্য এই কাজ করেছে।” পাশাপাশি, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন মৃতার বাবা। দাবি জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তের।