হুগলি: ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গেলেও তাঁর ডাকে সাড়া দেননি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এই নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগে একান্তে বৈঠক করলেও ফুরফুরায় ইফতারে কেন গেলেন না নওশাদ? মমতা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন, তাতে তিনি সফল হয়েছেন।
নওশাদ বলেন, “আমার রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করার জন্য ফুরফুরায় এসেছিলেন মমতা।” তবে এবার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে মমতা যেভাবে পীরজাদাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাতে সফল হয়েছেন বলেই দাবি নওশাদের। বিধায়ক জানান, তিনি তিনবার ফুরফুরা শরিফে যেতে দেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। তবে এবার মমতা সফল হয়েছেন বলেই মনে করেন নওশাদ। তিনি বলেন, “বেশির ভাগ পীরজাদাই তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন, উনি এটাই চেয়েছিলেন। আগে স্টেজে হাত নাড়িয়ে চলে গিয়েছিলেন। এবার পীরসাহেবদের মাঝে এসেছেন।”
তবে নওশাদ জানান, তাঁকে ওই ইফতারে যেতে নিষেধ করেছিলেন তাঁর দাদা তথা আইএসএফ দলের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। নওশাদ বলেন, “আব্বাস সিদ্দিকি দলের প্রতিষ্ঠাতা ও আমার বড় ভাইজান। বাবার পরে উনিই আমার অভিভাবক। তাই ওঁর নিষেধ এড়াতে পারিনি।”
তবে নওশাদের এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি যেসব পীরজাদারা নওশাদের হয়ে গলা ফাটাতেন, তাঁরা কি এখন তৃণমূলে? ফুরফুরায় কি সত্যিই রাজনৈতিক বিভাজন তৈরি করে দিয়েছেন মমতা?