Communal Harmony: আজাদের কাজেই আজাদির সুর! অশান্তির আবহেও ধর্ম নয়, কর্ম পরিচয়ই ‘জাত’ চেনাচ্ছেন সংখ্যালঘু যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 15, 2022 | 10:00 AM

Communal Harmony: ধর্ম নয় কর্মই পরিচয়, অশান্তির আবহে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নয়া নজির গড়ছেন আজাদ আলী

Communal Harmony: আজাদের কাজেই আজাদির সুর! অশান্তির আবহেও ধর্ম নয়, কর্ম পরিচয়ই ‘জাত’ চেনাচ্ছেন সংখ্যালঘু যুবক
ছবি - সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নয়া নজির

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিজেপি মুখপাত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তাল গোটা দেশ। অশান্তির আঁচ পড়েছে এ বাংলাতেও। কিন্তু তার মধ্যেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির গড়ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা পৌরসভার অস্থায়ী অ্যাম্বুলেন্স চালক আজাদ আলি। আজাদই যেন ক্ষীরপাই এলাকার সকলের নয়নের মণি।  সকলেই বলছেন আজাদ তাঁদেরই বাড়ির ছেলে। 

ক্ষীরপাই এলাকার এক হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুতে দাহ কাজে হাত লাগিয়েছিলেন আজাদ। পাশে দাঁড়িয়েছেন আরও অগণিত হিন্দু পরিবারের পাশে। ক্ষীরপাই পৌর এলাকার অলিগলিতে কান পাতলে সকলে এক কথায় চেনেন আজাদ আলীকে। কিন্তু, কী করে সকলের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠলেন আজাদ ? কী করে সকলের ঘরের ছেলে হয়ে উঠলেন এই সংখ্যালঘু যুবক? সকলেই বলছেন আজাদের কর্মকাণ্ডই তাঁকে সকলের কাছের মানুষ করে তুলেছে।

ক্ষীরপাইযের ব্যবসায়ী সুপ্রিয় ঘোষের দাবি,  “আজাদদাই প্রথম এখানেট দুর্গাপুজো উদ্যোক্তা, প্রথম সদস্য সংগ্রহের চাঁদাটা তিনি দিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে। এখনও সমস্ত কাজে এগিয়ে আসেন তিনি”। শুধু তাই নয় প্রতাপ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমার বাবা আজাদকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসত। আমার বাবার মৃত্যুর সময় তো আজাদ আগুন দিয়েছিল। আমাদের হিন্দু সমাজের নিয়মকানুন ও খুব গুরুত্ব সহকারে পালন করে এ সব কাজে। তবে ও ওর ধর্মের প্রতিও নিষ্ঠাবান”।

আজাদ প্রসঙ্গে ক্ষীরপাই পৌরসভার এক কর্মচারী ত্রিদীপ চক্রবর্তী  বলেন” ক্ষীরপাই পৌর এলাকার সকলের প্রিয় মানুষ  আজাদ আলী। করোনার সময়কালে একা পরিষেবা দিয়েছে, সকলের জন্য ছুটে গিয়েছে আজাদ। আক্রন্তদের কাছ থেকে যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন ও একা ছুটে গিয়েছে। আজাদ ওর কর্মকাণ্ডে বারবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে মানুষের কাজের কাছে জাতি ধর্ম কিচ্ছু নেই, সেবাই সব”। আজাদও মনেপ্রাণে সেটাই মনে করেন। এমনকি তিনি হিন্দু শাস্ত্রে ধর্মের একাধিক বই পড়েছেন। রামায়ণ থেকে মহাভারত, সবই পড়ে ফেলেছেন তিনি। নিজের ধর্মকেও তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন সমানভাবে। এক কথায় ভেদাভেদ ভুলে মানবতারই জয়গান গাইছে আজাদ।

Next Article