Communal Harmony: হাওড়ায় সম্প্রীতি, টাকা নেই বলে সন্তোষের সৎকারে নামাবলী, ফুল, খই কিনে কাঁধও দিলেন নাসিরুদ্দিনরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 17, 2022 | 1:37 PM

Communal Harmony: সাঁকরাইলের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার (৭৫) দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি নিজের বাড়িতেই মারা যান।

Communal Harmony: হাওড়ায় সম্প্রীতি, টাকা নেই বলে সন্তোষের সৎকারে নামাবলী, ফুল, খই কিনে কাঁধও দিলেন নাসিরুদ্দিনরা
ছবি - সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির

Follow Us

কলকাতা: একটি ধর্মীয় বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত সপ্তাহ থেকেই অশান্ত গোটা দেশ। অশান্তির আঁচ পড়েছিল বাংলাতেও। উত্তপ্ত হয়েছিল হাওড়ার (Howrah) বিস্তৃর্ণ এলাকাতেও। এবার সেই হাওড়াতেই দেখতে পাওয়া গেল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। মৃত্যুর পর এক হিন্দু বৃদ্ধের দেহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গেলেন শ্মশানে। সৎকারেও সাহায্য করলেন। দেশজোড়া অশান্তির আহহে সম্প্রীতির এই খবরেই যেন ফের নতুন করে সৌভ্রাতৃত্বের সুর খুঁজে পাচ্ছেন নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ। 

সাঁকরাইলের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা সন্তোষ কর্মকার (৭৫) দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি নিজের বাড়িতেই মারা যান। তার এক ছেলে মাধব কর্মকার পেশায় গৃহশিক্ষক। বাবার চিকিৎসায় বেশ ভালো পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কারণে ওই পরিবারের হাতে দেহ সৎকারের অর্থ ছিল না। এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁরাই নিজেদের টাকায় বাশ কিনে নিয়ে আসেন। বাঁশ চিরে খাট তৈরি করা হয়। এরপর নামাবলী থেকে ফুল, ধুপ এমনকি খই পর্যন্ত কিনে নিয়ে আসেন। 

শেষে দুপুরেই মুসলিম ভাইয়েরা নিজেরাই মৃতদেহ কাঁধে চাপিয়ে খই ছড়াতে ছড়াতে গ্রামের শ্মশানে নিয়ে যান। এদিকে সাঁকরাইলের সর্দার পাড়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ ছবি নতুন নয়। শুধু আজ নয় কোভিড পরিস্থিতির সময়েও তাঁরা একে অপরের দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সহজ কথায় ওই গ্রামে ধর্ম নিয়ে কোনও ভেদাভেদ নেই। স্থানীয় এক প্রতিবেশী নাসিরুদ্দিন সর্দার বলেন, “এখানে হিন্দু মুসলমান সবাই ভাই ভাই। তাঁরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। ওই পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে শবদাহ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তখন আমরা এগিয়ে আসি। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুশি”।

Next Article