সরল বিশ্বাসে প্রতিবেশী ‘দাদাদের’ টোটোয় উঠেছিল কিশোরী, তার পরিণতি এমন!
Sexual Harassment:ঘটনা শুনে প্রথমেই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন নিশাদেবী। প্রথমে গোলঘরে, পরে কল্য়াণী হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতাল থেকেই খবর দেওয়া হয় নোয়াপাড়া থানায়।
উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধুর বাড়ি থেকে সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফেরার জন্য রাস্তায় গাড়ির অপেক্ষা করছিল কিশোরী। গাড়ি না পেয়ে প্রতিবেশী ‘দাদাদের’ টোটোয় ওঠে সে। অভিযোগ সেই ‘দাদাদের’ কাছেই যৌন নির্যাতনের (Sexual Harassment) শিকার হয় ওই বছর পনেরোর কিশোরী। শুক্রবার, ধৃত দুই যুবককে গ্রেফতার করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবক ও নির্যাতিতা ইছাপুরের বাসিন্দা।
নির্যাতিতার মা নিশা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরছিল। সেইসময়, রাস্তায় গাড়িঘোড়া না পেয়ে অপেক্ষা করছিল সে। তখনই তাদের প্রতিবেশী সায়ন ও সাহেব টোটো নিয়ে হাজির হয়। তখন টোটোতে অন্য যাত্রীরাও ছিলেন। কিশোরীকে দেখতে ওই দুই যুবক তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। অভিযোগ, অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ওই কিশোরীকে একা পেয়ে তার মুখে একজন রুমাল চেপে ধরে তাকে অজ্ঞান করে দেয়। তারপর ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গাড়ির মধ্যেই যৌন নির্যাতন (Sexual Harassment) চালায় বলে অভিযোগ। কিছুটা হুঁশ ফিরলে ওই কিশোরী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই প্রবল মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ফের অচৈতন্য় হয়ে পড়ে কিশোরী। সেই অবস্থাতেই তাকে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত দুই যুবক। পরে হুঁশ ফিরলে নির্যাতিতা তার মাকে সব কথা খুলে বলে।
ঘটনা শুনে প্রথমেই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন নিশাদেবী। প্রথমে গোলঘরে, পরে কল্য়াণী হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতাল থেকেই খবর দেওয়া হয় নোয়াপাড়া থানায়। তদন্তে নেমেই পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পাশাপাশি নির্যাতিতা কিশোরীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ও হিরো’! ‘ধর্ষকের’ তকমা গলায় ঝুলিয়ে গ্রামে ঘুরছেন পুরোহিত, ‘শাস্তি’ দিলেন গ্রামবাসীরা