
বনগাঁ: তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, অন্য এক যুবক ও তাঁর বোন তাঁকে মা পরিচয় দিয়ে এসআইআর-র ফর্ম জমা করেছেন। এই নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পৌরসভার ভুলি বিশ্বাস নামে ওই মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনুপ বিশ্বাস নামে ওই যুবক।
বনগাঁ পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ভুলি বিশ্বাস। বনগাঁ মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মৃত। কিন্তু সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুপ বিশ্বাস ও তাঁর বোন চম্পা বিশ্বাস তাঁদের নিজের মায়ের পরিবর্তে তাঁকে মা হিসেবে দেখিয়ে এসআইআর-র ফর্ম জমা করেছেন। তাঁর ছেলে মৃত, কিন্তু অন্য দুইজন তাঁকে মা দেখিয়ে এসআইআর-এ আবেদন করেছেন জেনে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বনগাঁ এসডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
ভুলি বিশ্বাস বলেন, “মোবাইলের সিম কার্ড তুলবেন বলে আমার কাছ থেকে ভোটার কার্ড নিয়েছিলেন ওই যুবক। তারপর আমাকে মা হিসেবে দেখিয়ে ভোটার কার্ড করেন।” তাঁর ছেলের নামও অনুপ বিশ্বাস ছিল। মাস তিনেক আগে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ছেলে বেঁচে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট করতে গিয়েই তিনি বিষয়টি জানতে পারেন বলে জানান।
যদিও অনুপ বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, “আমি সঠিকভাবেই ভোটার লিস্টে নাম তুলেছি। যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর কাছে প্রমাণ থাকলে তিনি দেখান। মেনে নেব । আমি সঠিক ডকুমেন্টস দেখিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলেছিলাম।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত অনুপ বিশ্বাস ও চম্পা বিশ্বাসের মা উমা বিশ্বাস বলেন, “আমার ছোট ছেলে অনুপ বিশ্বাস ও মেয়ে চম্পা বিশ্বাসের ভোটার কার্ডে আমার নামের পরিবর্তে ভুলি বিশ্বাসের নাম রয়েছে। এটা ভুলবশত হয়েছে কি না আমরা জানি না।”
এই বিষয়ে বনগাঁ ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুকুমার রায় জানিয়েছেন, “আমি জানতে পেরেছি ভুলি বিশ্বাসকে মা সাজিয়ে অনুপ বিশ্বাস ও চম্পা বিশ্বাস ভোটার কার্ড বানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বিষয়টিকে খতিয়ে দেখুন।”